কে জানতো,তার এতোই উর্বর
মস্তিষ্ক?মরীচিকার পিছনেও ছুটে
বেড়ায়।কখনও হয় না বিরক্ত।
তার এক কর্মকাণ্ড শোনো।
ফাঁদ পেতে পাখি ধরতে দেখেছ
কি?অদ্ভুত কৌশল।খাদ্যশস্যদের
ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে সে স্থানে
ফাঁদটি পেতে শিকারি বিড়ালের
মতো বসে থাকতে হয়।
প্রলোভনের ফাঁদ!ক্ষুধার্ত পাখিরা
শিকারিদের এই প্রচেষ্টাকে করবে
বরবাদ?আছে কি তার কোনও
উপায়?দেখো,ইতিহাস ঘেঁটে।মনে
হয়,খুব বেশী ঘাঁটাঘাঁটি করতে
হবে না শিকার ধরার উদাহরণ
খুঁজে পেতে।
বলছি,কী ভাবছো মাথা কুটে?
শিকারিদের এসব উদ্যোগ দেখে
তাদেরকে সাধুবাদ জানাতে কি
ইচ্ছা হয় না মোটে?
পাখিদের ভোজনের জন্য এতো
আয়োজন।চোখে দেখলেই ধাঁধা
লাগতে পারে যখন তখন।জানো,
সেখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের নেই
ঠাই।
বলো,এমন উদ্যোগ দেখলে তাকে
সাধুবাদ না-জানিয়ে যাই কোথায়?
বলছি,পাখিদের পেট ভরে খেতে
কোনও বাধা নাই।তবে বিপত্তির
সম্ভাবনা কোথায়?তবুও কেন যে
লোকে তাকে নিয়ে এতোটা মাথা
ঘামায়?
লোকজন আসরে করছিল বলাবলি,
পাখির খাবারে মাত গুড় মেশালে
শিকারির পাখি শিকারের উদ্যোগ
কখনও কি গেছে বিফলে?
সেসব জেনেও কেহ শিকারিদের
স্বাগত জানাচ্ছে দেখলে হতবাক
হয়ে ভাবি,‘কেন ছুটছে অকারণ
হঠকারী পাহাড় টির দিকে,যার
এক ভাগ ভাসমান আর এগার
ভাগ লুক্কায়িত,গভীর নীল সমুদ্রে
ভাসমান বরফের মতো।
ভাবি,পরিণাম না-ভেবে কাজে
নামলে অচিরেই হতে পারে সব
ছারখার।জানি না,কতখানি মূল্য
পাবে সকলের অতীতের বিভিন্ন
অভিজ্ঞতার!
ভাবো,মনে পড়ে কি টাইটানিক
জাহাজ নিয়ে ক্যাপ্টেন কিভাবে
সদর্পে পাড়ি দিয়েছিল সাগরের
বুকে?তারপর কী কাণ্ড ঘটেছিল
সাগরে তলিয়ে যাওয়ার আগে?
ভাবি,সে রকম ঘটনার আবারও
পুনরাবৃত্তি হবে নাকি?
দেখো,অদূরে জ্বলে লাইট হাউসের
বাতি।বিপদের সংকেতের বার্তাবহ
জাগছে নিশুতি রাতি।
সংশয়ের বেড়াজালে জড়িয়ে এখন
বলতে ইচ্ছা করে,‘ক্যাপ্টেন!চলো
সতর্ক হয়ে।পোতাশ্রয় এখনো,জেনো,
বহুদূর।সেখানে পৌঁছতেও লাগবে
সময়’।
সেটুকু অবকাশ পাবে কিনা তাই
নিয়ে জাগছে সংশয়।সূর্য অস্তপ্রায়।
আঁধার ঘনিয়ে আসে,তাই নিয়ত
জাগে ভয়।
ক্যাপ্টেন,সাবধান।সদম্ভে বলীয়ান
হয়ে সামনে এগুবেই যত,হয়তো
তখন জাহাজে লাগবে তত বেশী
পাহাড়ের ঘা-গুঁতো।
জল যানে ফাটল ধরার সম্ভাবনা।
বলি,টাইটানিকের মতোই অতলে
তলিয়ে যেতেও তখন লাগবে না
বেশী সময়।