মন পাখিটি এবার উড়ে এসে লাল-কেল্লায় গিয়ে বসলো শেষে
দেখতে সাহেবদের আছে কত হারাবার
যুদ্ধবন্দীদের উপর রাগের বশে ইংরাজ তাদের বিচার করতে বসে
ভাবেনি বিধাতাও করবে তাদের বিচার।
আজাদ হিন্দ বাহিনীকে হারাতে ইংরাজ বিভ্রান্তি ছড়ালো উৎসাহতে
নয়তো নিজেরাই হতো ছারখার
বন্দীদের বিচারের খবর ছড়ালো জনরোষে দেশে আন্দোলন হলো
সেই ঘটনা সত্যি মনে রাখবার।
সাগর বাণ আসে পিছে পিছে কূল ঝাঁপিয়ে তীর ভাঙে শেষে
মানুষ সর্বস্বান্ত হয় ক্ষয় ক্ষতিতে
নৌ-বিদ্রোহ হলো সাথে সাথে দেশব্যাপী ধর্মঘট হলো তাতে
বিক্ষোভ ছড়ালো সামরিক বাহিনীতে।
১৯৪৬ খ্রীঃ ১৮ই ফেব্রুয়ারিতে নৌ-বিদ্রোহ হলো বোম্বাইতে
তলোয়ার জাহাজের ঘটনা লয়ে
সেথায় ব্রিটিশ নৌ-কর্মচারীরা বিরুদ্ধে ভারতীয় নৌ-সেনারা
বিরোধ খাবারের গুনমান নিয়ে।
নিকৃষ্ট খাদ্য যোগালো সাহেবরা প্রতিবাদী ভারতীয় নৌ-সেনারা
বর্ণবিদ্বেষী আচরণ করলো ইংরাজরা
ভারতীয় সেনারা ক্ষিপ্ত ভীষণ জাহাজে আগুন ধরালো তখন
কামান দাগাতে চাইলো বিদেশীরা।
জ্বলন্ত প্রদীপ নিভে যাবার আগে শিখাটি দপদপ করে যেন রাগে
প্রাণ-প্রদীপটি হাঁপায় হাপরের মতো
ইংরাজ শাসনের হলো সেই দশা বাঁচিয়ে রাখার নেই কো ভরসা
চরম অত্যাচার চালালো অবিরত।
নৌ-সেনাধ্যক্ষ গডফ্রে তখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো ভীষণ
দেন কামান দাগানোর নির্দেশ
মারাঠি সেনারা মানেনি আদেশ রাজপথে লড়াই হলো শেষমেশ
সাহেবদের আঁচর লাগলো বেশ।
আন্দোলন ছড়ালো বন্দর শহরে গুলি বিনিময় করাচি বন্দরে
ইংরাজের শাসন দণ্ড ভেঙ্গে চুরমার
সইতে হলো গো অশেষ জ্বালা আর নয়,এবার ফেরার পালা
সাহেবরা সিদ্ধান্ত নিলো দেশ ছাড়ার।
এদেশে এলো ক্যাবিনেট মিশন অনেক আলোচনা হলো তখন
তবুও হয়নি কোন ফয়সালা
শেষে হলো অন্তর্বর্তী সরকার জওহরলাল উপর তার কার্যভার
চললো পালা বদলের পালা।
তাকিয়ে দেখো গো দুই সতী নদী দুটি পদ্মা ও ভাগীরথী
নিয়ত বহিছে কেমন পাশাপাশি
একই উৎস গঙ্গার দুটি ধারা সাগর অভিমুখে চলছে তারা
বহিছে উভয়েই বিপুল জলরাশি।
স্বাধীনতার যুদ্ধ হলো শেষ গঠিত হলো শেষে দুটি দেশ
সমগ্র দেশের ভূখণ্ড ভাগ করে
সেই ভারতবর্ষ ও পাকিস্তান দেশ দুটি উভয়েই সুমহান
এগিয়ে চলুক হাতে হাত ধরে।
(সমাপ্ত)