হাঁসফাঁস করছি যখনি তীব্র দাবদাহে
ভাবিনি এযাবৎ ছুটেছি কিসের মোহে!
কেন এ জীবনে ঘটছে এমন দুর্দশা
একেবারে তপ্ত তেলে বেগুনের দশা
বিছার কামড়ের মতো গাত্র তীব্র দহে।


দেহে সয় না আর এ তীব্র দহন জ্বালা
এ জ্বালা আর মোটেও সয় না এবেলা!
নির্ঘুম প্রকৃতি বলছে তীব্র রোষে,
‘এখনো দহন জ্বালা ধরেনি কষে
আরও সইতে হবেই বিদায়ের বেলা।


মুখ বুজে সয়েছি তোদের কত ঘাত
তবু আগে কখনও করিনি প্রত্যাঘাত।
ছাড়ালে আমার সহ্যের সীমা
আর কত করতে পারি ক্ষমা?
এখন তোদের কাটবেই নির্ঘুম রাত।


কেড়েছিস আমার বাঁচার অধিকার?
এ সময় কেঁদে কেউ পাবি না নিস্তার
আমার অধিকার কেড়ে কে বাঁচবে?
সহ্যসীমা ছাড়ালে কে, কত সইবে?
এখন মরণোন্মুখ হলে সেই দায় কার?’


ওরে, ফিরিয়ে দে প্রকৃতির সব অধিকার
ফিরে পেতে সকলের জীবন-জীবিকার
রসদ, যেন না-জাগে কারো ক্রন্দন
ধরায় বজায় থাকে প্রাণের স্পন্দন
ধ্বংসযজ্ঞ থেকেও রক্ষা পায় বিশ্বসংসার।