বললো কাকাতুয়া গলা বেশ উঁচু করে
সে দেখে এসেছে বনবন করে উড়ে
কোনও এক গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের কাজে
এক দু’জন নয়, লাখো মানুষ আছে জড়িয়ে।
তাদের মধ্যে সাধু সেজে বিড়াল তপস্বী আছে
একেবারে কম কি? যে যতই চেষ্টা করুক
তাদের হাতেনাতে ধরাও সহজ নাকি?
একাজে কে বা কারা করবে তাদের নজরদারী?
সেখানেও বিড়াল তপস্বী থাকতে পারে, বৈকি।
বললো পাখি, এই তপস্বীরা নাকি রাতদিন
কঠোর সাধনায় ব্যস্ত
গণতন্ত্রকে সাফ করে ঝকঝকে রাখতে সিদ্ধহস্ত।
সন্ধ্যা হতে তারা মন্ত্র জপে একান্তে,
সন্ত সেজে এসে যদি কেউ মনিমাণিক্য রেখে যায়
‘রাতের অন্ধকারে বাঁশ-বাগানের ঝোপে ঝাড়ে
আর সেসব যদি তাদের জোটে বরাত জোড়ে
গণতন্ত্রের পূজারীদের নজর এড়িয়ে,
তবে দোষ কি গণতন্ত্রকে মাথায় তুলে নাচতে
সেসময় কোমর একটু না-হয় একপাশে বেঁকে
রইলো তাতে?
বললো পাখি কর্তব্যরত সর্বোপরি বাবুমশাইকে
‘বাবুমশাই, ভরসা রাখুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায়
আর নির্বাচনের কাজ মিটিয়ে ফেলুন নির্দ্বিধায়।
ব্যাঙ্ক যদি পারে সঠিক ব্যক্তিদের হাতে
তাদের ন্যায্য প্রাপ্য টাকা তুলে দিতে,
তবে কেন ব্যর্থ হবেন সঠিক ভোটারদের চিনে
ভোটিং-যন্ত্রের সামনে তাদেরকে পৌঁছে দিতে?
বলি, নির্বাচনের কাজে কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার উপর
দায় সঁপে না দিয়ে যতই আঁটসাঁট গেরো
দিন না কেন মানুষের উপর ভরসা করে,
কে বলতে পারে, যা দিনকাল, এখন সবই
ফসকা গেরোও হতে পারে।