বলছে লোকে এখন কোনও এক আজব দেশে
দুর্বৃত্তরা জমিয়ে রঙ্গ তামাশা করছে হেসে খেলে
দিনে রাতে লুকোচুরি খেলছে ও চোর-পুলিশে
সে কারণে এতো দুঃখ কষ্ট জনগণের কপালে।


বাবুমশাই, এ শুনেই যেন আঁতে লাগলো ঘা!
বুকে তখনি দপ করে জ্বললো তুষের আগুন।
তবু নিরুপায়, সেটি সহ্য না-করে উপায় কি?
বলতে পারেন অন্তর টা জ্বললো তেলে বেগুন।


বাবুমশাই, যখন বললেন ধরতে হবে চোরকে
করলে দেরি, চোর সদলবলে পালিয়ে যাবে।
বলছি, প্রথম থেকে হাত গুটিয়েও বসে নেই
চোর ধরতে সদ্ ভাবনার অভাব ছিল কবে?


বাবুমশাই, বলেছিলাম দোকানিকে বড্ড তাড়া,
তবুও সে চা-যোগাতে করলো খুবই গড়িমসি
যে চা দিলো সে ও বড্ড গরম, উঠছে ধোঁয়া
ভাবছি, সে কি এ-চোরের মাসী কিংবা পিসী?


তপ্ত চায়ে চুমুক দিয়ে কে চায় ঠোঁট পোড়াতে?  
বলছি তাই এখন অপেক্ষা না-করে করবো কি?
বাবুমশাই, ভাবছেন বুঝি চোরেরা সব পালাবে
হতে পারে, দিনকাল যা তারা বসে থাকবে কি?


বলছে লোকে সে দেশে দিনকাল বদলে গেছে
জনগণের প্রতিবাদের ঝড়, সেও মিইয়ে আছে,
সুযোগ বুঝে দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্তায়নের মওকা দেখে
সাগর চুরি? সেটি ও রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে।


বাবুমশাই, যাই বলুন সে দেশটিতে দুর্বৃত্তায়ন
ঠেকানোর কাজে দেশের রাণী-ই বাদ সাধছে।
কাকাতুয়া খবর নিয়ে এসেই জানিয়ে গেলো
নন্দ ঘোষ দোষ করছে বলেই সে বেশ আছে!


বললো পাখি সে দেশের জনগণ বলছে এখন
চলছে কী? এখনও রাণীর ঘুম ভাঙছে নাকি?
দগদগে ঘা’র মতো দুর্বৃত্তায়ন চলবে কতদিন?
দেশ পুড়লে দেশটার পোড়া শরীর দেখবে কি?