জোঁকের মতো রক্তচোষা দের সাধের সম্পদের
মিনার গড়ার পথে জনগণের সাথে সখ্যতায়
তাদের কু নজরে পড়তে হলো তাকে।
বাজারে কিংবা পথেঘাটে প্রত্যহ সাক্ষাতে ওরা
ঈর্ষা পরায়ণে পেটমোটা বলত তাকে।সেই কথা
শুনে অভিমানে ভাবলো সে শরীর চর্চা করতে
যাবে জিমে।ডায়েট নিয়ন্ত্রণের ভাবনাও লাটিমের
মতো ঘুরলো মগজে।রাতদিন নেট-দুনিয়া সার্চ
করলো সেরা ডাইয়িটিশনের খোঁজে।          
বিদুরের মতো এক দূতের মারফৎ সেই কথা
শুনে রাজা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরামর্শে স্বাস্থ্য সচেতন
বলিষ্ঠ অর্থমন্ত্রীকে ডাকালেন সমস্যার নিরসনে।
সভাসদ রা বললো এসব সমাধানে নাকি তার
কোন জুড়ি মেলা ভার।আপোসে রাজ-বদ্যিও
তার কাছে হার মেনেছে বহুবার।
অভিজ্ঞ মন্ত্রী মশাই ফিরে গিয়ে একাগ্র ভাবে
আরাধ্য দেবতার নামটি জপ করে চকমকি
পাথর গুলি ঘষতেই দ্রব্যমূল্যে লাগলো আগুন।
ফরেরা সদলে যোগালো ইন্ধন।সেই আগুন কে
করতে পারেনি নিয়ন্ত্রণ।চারিদিকে ছুটলো
দাবানল।
হাত পুড়বার ভয়ে বাজারে ঢু মেরে পালালো
ক্রেতারা।দ্রব্যের বেচাকেনা মুখ থুবড়ে পড়েছে
দেখে নির্বিকার,তাকে পেটমোটা বলতো যারা।
স্বল্প ভোজনের অভ্যাসে পেটমোটা থলি হয়েছে
কৃশকায়।মন্ত্রী মশাই এর সৌজন্যে নিন্দা-বাক্য
ঘুচেছে তার।