দিনলিপি ও জীবন--
বাদশার সাথে আগে বেরোতো প্রতিদিন
সকাল হলে,
ছলে বিশ্রাম নেয়নি কোনদিন
পৌঁছে যেতো যখন যেখানে জনসমাগম হতো।
তারপর?
বাদশা ডুগডুগি বাজালেই বুঝতো ইশারা
দাঁড়িয়ে পড়তো শক্ত করে শিরদাঁড়া
দক্ষতায় খেলা দেখাতো জনগণের মন কাড়া,
বিনিময়ে খাদ্য পেতো
শ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জনের মতো।
তবে সেসময় রোজগার হতো না রোজ
তাই কখনো কখনো অনটনে কাটাতে হতো।
অনুদানের গন্ধ ও সাধ পায়নি কখনো।
এখন অবস্থার বদল হলো
কাকাতুয়া এসে বললো
ক’জন মদমত্ত নাকি করলো বলাবলি,
‘সরকার খুবই দয়ালু’।
এখন ঘরে বসেই জুটছে
অনুদানের অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী।
কাজের সাথে এর সম্পর্ক?
এতো ‘অবাক জলপান’ গল্পের মতো
ঘটাতে যাচ্ছ নানান কাণ্ড!
‘জল পাই কোথায়?’- বলে তন্নতন্ন করে
খুঁজে বেড়ানো যেন!
বুকে হেঁটে খুঁজতে হবে
কাজের সাথে অনুদানের সম্পর্ক।
বলি,সেটি খুঁজবার আগে ভাবো
‘কাজ সহজ লভ্য হলে কি অনুদানের জন্য
মুখিয়ে থাকে লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতী’?
এখন অবস্থা এমনি, ‘সেসব গ্রহন করতে
সর্বত্র লম্বা লাইন দিয়ে শুধু দাঁড়িয়ে নেই,
সময়ে অসময়ে তারা ডাক পেলেই এসে
দাঁড়িয়ে পড়ে কৃতজ্ঞতা জানাতে’!
আর আজ এর পরিণতি দেখবে নাকি?
দেখো,তাদের বুকে হাঁটা ছাড়া গতি কি?