ইদানীং চোখে পড়ছে কি চারদিকে
শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার বাড়বাড়ন্ত,
বিশেষত করোনার অতি দাপাদাপির
সময় বাবুদের ছাড়পত্র পেয়ে ক্রমে
বেড়ে ওঠা আগাছার মতো?
এসব দেখে রোজ ভাবি মননের সাথে
তার গভীর যোগাযোগ আছে কি?
শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সাধিত হয় কি?
যদিও কাগজে কলমে বাড়ছে শিক্ষার
হার, নির্দ্বিধায় বলতে ইচ্ছা হয় মনে
জাগছে ঘোর সংশয়, এসময় শিক্ষার
অধিকাংশ বিষয়বস্তু পৌঁছে যাচ্ছে কি
শিক্ষার্থীদের অন্তঃকরণে?
বলার অপেক্ষা রাখে না, চলমান এই
শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকুক
কিবা নাই থাকুক, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায়
কৃতকার্য হলে তাদের মনে জন্মাবেই
নিজেদের শিক্ষিত বলার অধিকার।
ভাববার বিষয় বৈকি, এ ব্যবস্থার
মাধ্যমে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সাধিত
হলো কি?
বলবো কী, এ বিষয়ে ভাবতে গিয়ে
বারবার মনের দুয়ারে হোঁচট খেয়ে
মুখ থুবড়ে একেবারে মাটিতে লুটিয়ে
পড়ি। বহু নিউরন সাময়িক হারিয়ে
ফেলে তাদের কর্মক্ষমতা। ব্যাহত হয়
উদ্দীপনার সঞ্চালন।
তারপর যখন কর্মক্ষমতা ফিরে পায়
ভাবি, এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে
শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মনের
গভীরে পৌঁছচ্ছে কি স্বতঃস্ফূর্তভাবে
কোনও বিতর্কসভায় তত্ত্ব ও তথ্যাদি
পরিবেশনের আত্মবিশ্বাস?
প্রায়শ যা দেখি তাতে মেটে না আশ।
দেখেছি তারা অধিকাংশ সময় সভায়
নির্বাক। নয়তো, সেই শ্রোতাদের করে
একেবারে হতবাক।
কখনো কখনো বক্তারা তাদের শানিত
অস্ত্রের মতো দেখাতে গিয়ে পরিবেশন
করে বসে বহু আজগুবি তত্ত্ব ও তথ্য।
বলার অপেক্ষা রাখে কি সে সময় যথার্থ
তত্ত্ব ও তথ্যের অভাবে বিতর্কসভা হয়ে
দাঁড়ায় অন্তঃসারশূন্য?
সেসব শুনে শ্রোতাদের মন ভারাক্রান্ত হয়,
বৈকি। এ কথাটি বলতে দ্বিধা কী সেসব
শিক্ষিতরা অনেকাংশে সে সভাস্থলে হয়ে
পড়ে পরমুখাপেক্ষী।
সহজ প্রশ্ন হলেও অনেকের মাথার উপর
আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো ব্যাপার আর
ফ্যালফ্যাল করে চারদিকে তাকিয়ে থাকা
ছাড়া তাদের গত্যন্তর কি?
তাদের নির্ভর করতে হয় গুগলের মতো
অনলাইনে তথ্য ও তত্ত্ব ভাণ্ডারের উপর,
অন্ধের যষ্টির মতো তার উপর অতিশয়
নির্ভরতা ছাড়া গতি কি?  
ভাবি, এভাবে চললে দেখতে হবে আরও
কত কী।