দেখেছো, ও ব্যাটা কত কী করতে পারে!
তাকে সংশোধনাগারে দিয়েও হলো না
পালিয়ে এসে লম্বা তাল গাছে চড়েছিল শখে
আর হঠাৎ পা পিছলে গেল পড়ে।
বিজ্ঞরা বলেছিলো, তাকে বাঁচিয়ে রাখার নেই দরকার
‘যারে ভোম্বল, ও ব্যাটাকে সাগরে ফেলে দিয়ে আয়'।
সেকাজে গেলে বটে
ঘণ্টা কয়েক পরে ফিরে এসে বললে,
তাকে সাগরে ফেলবার হলো না দরকার।
তার এমনি মন্দ বরাত,
গাছ থেকে পড়ে এই দুনিয়া থেকেই পগার পার।
বিজ্ঞদের কথা শুনলে না, সাগরে ফেলে এলে না।
বুঝলে না, সে মরার ভান কে পড়ে রইলো,
সে দম নিচ্ছে কিনা সেও দেখলে না।
নিজেকে ভাবলে একেবারে বিদ্যেবোঝায়।
এখন দেখছো ও ব্যাটা মরেনি,
লাঠি কাঁধে এদিকেই আসছে তেড়ে।
বিজ্ঞদের পরামর্শ মেনে
তাকে সাগরে ফেললে সব ঝামেলা চুকে যেত।
দেখছ ভোম্বল,  আকাশ ঢেকেছে মেঘে?
বজ্রপাতের সম্ভাবনা?- সেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এখন বুঝেছ ভোম্বল, করেছো যে ভুল?
গুনতে হচ্ছে ভুলের মাসুল?
ও ব্যাটার রোষানলে পড়ে কি মনে হচ্ছে
পিলে চমকে ওঠার যোগাড়?
বলতে ইচ্ছা হচ্ছে, ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’?
এখন নিজে বাঁচার তাগিদেই তাকে বধ করতে
লক্ষণের নিকুম্ভিলা যজ্ঞের মতো যজ্ঞ করতে হচ্ছে?