যদিও নিজেকে খুবই সৎ বলে সে,তবুও
বরাবর খুবই বদনাম মায়া গোয়ালিনী র।  
বলা ভালো সে চিরকাল মিথ্যাকে সযত্নে
লালন করছে জিভের ডগায়।সেসব দেখে
অশ্রু ঝরছিল রজনীর।
প্রতিদিন তার মুখ দিয়ে ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা
বচন বেরিয়ে আসছে যখন তখন।নিষ্ঠার
মূলোচ্ছেদ করে মিথ্যা বাক্য বলতে খুবই
অভ্যস্ত সত্যকে ঢেকে।বাস্তবের সাথে তার
কথার আকাশ পাতাল ফারাক দেখে যেন
ওরাং ওটাং নিজেও লাফিয়ে ওঠে।
ইদানীং তার গোলমেলে সত্য-মিথ্যা কথা
থেকে সত্যকে খুঁজতে বসে ঠিক পিঁয়াজের
খোসার মতো মিথ্যাকে একে একে ছাঁটতে
গিয়ে হয়তো আমার মন্দ বরাতের জন্যই
শেষে শাঁস টুকু পাইনি খুঁজে।
নিতান্ত বাধ্য হয়ে সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থে
কাজে লাগাতে হলো এক দুঁদে গোয়েন্দাকে।
চেয়েছি সে দুধে জল,না জলে দুধ মেশায়    
সেই তথ্য জানতে।
গোয়েন্দার শাণিত চোখ,তথ্য তালাস করে
দেখেছে গোঁড়ায় গলদ।সেসব দেখে তারও
চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
তাই ভাবছি,প্রতি ক্ষেত্রে সত্য সন্ধানে মনের
ব্যাকুলতা মেটাতে ও গুপ্ত রহস্যের মর্ম-মূল  
খুঁজতে কি গোয়েন্দাকে কাজে লাগাতে হবে।