যে গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে
পড়ে আছে পথের ধারে নয়নজুলিতে
তার নাম ফলকে লেখা 'গণতন্ত্র'।
আগে বলতো অনেকে
এ গাড়ি আর পাঁচটা গাড়ি থেকে স্বতন্ত্র।
আমি সে গাড়ির যাত্রী ছিলাম।
গাড়ি যাচ্ছিল বিরামহীন,
দিনশেষে কখন কালরাত্রি ঘনিয়ে এলো, কে জানে!
চারিদিক ঘিরে ধরলো ঘন অন্ধকারে,
জোনাকিও মিটিমিটি জ্বললো না।
তবে সে অঞ্চলে বোমা পিস্তলের শব্দ- বন্ধ,
বাতাসে বারুদের গন্ধ, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
হঠাৎই ঘটলো এক অঘটন,
গাড়ি ডিগবাজি খেল পথের ধারে, নয়নজুলিতে।
যাত্রীরা বাঁচাও বাঁচাও বলে করলো চিৎকার।
বরাত মন্দ, ধারে কাছে কেউ ছিলনা এগিয়ে আসার।
এ মুহূর্তে যাত্রীদের কেউ ভালো নেই
কারো ফেটেছে মাথা, বুকে চোট
অনেকের হয়েছে অঙ্গহানি,
সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মর্গে ক'জন চিরনিদ্রায় শায়িত আছে, কে জানে!
দেখছো, অপারেশন থিয়েটারে শুয়ে আছি,
কে যেন লিওকোপ্লাস্ট দিয়ে ঠোট আটকে দিয়েছে!
জিজ্ঞেস করছো, 'কেমন আছি?'
ইশারায় বলি,'শোনো, খুব কষ্ট অনুভূত হচ্ছে
কে যেন দেহ ও মন ছিঁড়ে খাচ্ছে,
এ স্থান থেকে পালানোর উপায়ও দেখি না।
মনে হয় যেভাবে বেঁচে আছি
হয়তো মানুষ নই, কোন এক পতঙ্গ!
মাকড়সার জালে জড়িয়ে ছটপট করছি'।