বাতাসে কান পাতলে শোনা যায় জনহিতে
কোনও এক রাষ্ট্র নাকি অসংখ্য দরিদ্রদের
কাঁচা বাড়ির পরিবর্তে গড়ে দিয়েছে তাদের
পাকা বাড়ি।  
কিন্তু হলো কী? চক্ষু চড়কগাছ? ভাবছো
সামান্য ঝড়ে চিৎপাত হওয়া সারি সারি
কাঁচা বাড়ি এলো কোত্থেকে?
দেখবে এসো, ঝগড়া চলছে দুই শালিকে।
ওদের মুখে এখনও গন্ধ লেগে থাকলেও
ওদের কে, সত্যি কথা বলেছে?
সুযোগসন্ধানীরা সারাক্ষণ নেকড়ের মতো
ওঁত-পেতে দরিদ্রদের ন্যায্য অধিকারে
ভাগ বসিয়ে দানা শস্যের মতোই সেসব
গিলে খেয়েছে?
সবই হয়তো ছাই চাপা পড়তো, যদি-না
মৃদু ঝড় বুঝিয়ে দিত প্রচারে পাকা বাড়ি
গড়ে দেওয়ার গল্পটা-ই ছিল বাড়াবাড়ি,
আদতে থেকে গেছে বহু কাঁচা বাড়ি।
ভাবছো, দরিদ্ররা হয়েছে বঞ্চনার শিকার,
লুটেরা কেড়ে নিয়েছে তাদের সব ন্যায্য
অধিকার।
ক্ষোভে টগবগ করে ফুটছো? এখন মনে
বারুদের মতো গন্ধ ছড়াচ্ছে খুব?
একটু একটু করে দানা বাঁধছে কামানের
মতো গর্জে উঠে ছড়াতে বিক্ষোভ?
এসব ঘটলে, বঞ্চিতদের প্রতিবাদী মুখ
হলে, সমাজের ক’জন পিছনের কারণ
অনুসন্ধান করবে? খুদ ছড়ালে সেসব
খেতে কাকের অভাব হবে?
সমাজে মানসিক বিকারগস্ত সুবিধাভোগী
বাহুবলী ও অর্থে বলীয়ান লুটেরা কি কম
আছে? তারা বঞ্চিতদের কথা কি কখনো
ভেবেছে?
বুদ্ধিজীবীদের মগজেরও আর দাম কত?
সুরার চেয়েও সুলভে-ই বেচাকেনা হচ্ছে
নিয়ত।
প্রচার মাধ্যমও সংযত। বলবো আর কত?
বড়শিতে মাদক মেশানো টোপ দিলে তাদের
অনেকেই মাছেদের মতো কাড়াকাড়ি করে
টোপ গিলতে উদ্যত।
সমাজের চালিকাশক্তি মাদকাসক্ত হলে
করবে কী? এই সময় হারিয়ে ফেলেছে
নাকি তাদের বিচারশক্তি?