গোধূলিতে এ কী দেখছি?
চিঁর খাওয়া কালো মেঘের ভেতর দিয়ে
দেখছি দিগন্ত বেশ লাল। কালনেমিও
সেখানে।
কে জানে, সেখানে সে করছে কী? বলবো
কী আর, হতবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার।
দেখেছি বাণে বিদ্ধ করে বহু ব্যাধ টেনে
হেঁচড়ে সেখানে নিয়ে এলো পৃথিবীকে।
তাকে ঝলসে খেতে ওরা করেছে এলাহি
আয়োজন।
ক’জন উল্লাসে শান দেওয়া ছুরি নিয়ে
পৃথিবীর ছাল ছাড়াতে করছে ছোটাছুটি।
ওদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো।
ত্রস্ত পৃথিবী! ঠকঠক করে কেঁপেও করবে
কী? গোবি মরুভূমির থেকে ভেসে আসছে
বৈকি,তার আর্তনাদ।
পৃথিবীর এ দশা হবে ভাবিনি আগে। রাগে
গজগজ করছে শরীর।
বলবো কী আর, দেখছি ব্যাধদের মুখ থেকে
বেরোচ্ছে উল্লাস ধ্বনি। অনেকে খইনি টিপছে
বসে।
ওরা এতোই পিশাচ শুনতেও চায় না বিষণ্ণ
পৃথিবীর কোনও আকুতি।
দেখছি ওরা জ্বালালো আগুন, এ পৃথিবীকে
ঝলসে খেতে। দাউদাউ করে জ্বলে উঠছে
বনানী।  
বিষাদের ধ্বনি চারদিক করছে তোলপাড়।
ভাঙছে কারো কারো হৃদয়-নদীর কূল।
ধপাস ধপাস পাড় ভাঙ্গার শব্দ বিঁধছে কারো
কারো হৃদয়ের মর্মমূলে। শূলে বিদ্ধ পাখিদের
মতো ঝাপটাচ্ছে তারা।
তবুও ব্যাধরা নির্বিকার।
নাকে আসছে ঝলসানো পৃথিবীর পোড়া গন্ধ।
হয়তো আর একটু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
হয়তো ক্ষণকাল পরে দেখতে হবে পৃথিবীর
পোড়া ছালের ছাইভস্ম।