একথা না বললেই নয়
প্রকৃতি এখন বড়ো নির্দয়!
খরা-প্রবণ জুন মাসে হু হু করে বইছে লূ,
এতোই গরম, আম-আদমি কয় শরীরে না সয়।
যাই বলো, এসময় শুরু হলে ভোটের নাচন
চুপ করে থাকবে নাকি কলাকুশলী ও বোদ্ধাগণ?
ভাবছো কি?
ডুগডুগি বাজিয়ে তখন জনমত সমীক্ষা করবে কে?
যা গরম, ক’জন যেতে পারে জনগণের ঘরে ঘরে?
বলছে কাকাতুয়া
একাজে তাদের কী দরকার রৌদ্রতাপে কষ্ট করার?
এ কালে মগজ ধোলাইয়ের দীক্ষাগুরু জোটে নাকি?
শোনো, দীক্ষাগুরু বলছে কী?
বলছে,-বলো কে, কত কড়ি ফেলতে পারো?
আগেভাগে সেটাই হিসাব করো।
আর একথাও বলতে হবে
কোন দিকে ভোটের ঢাল দিতে হবে
দরদামে মিটলে তবে
জনমত সমীক্ষার কাজে ভয় কি?
কাজ সমাধা হবেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে।
ভোট-কুশলী ও বোদ্ধাগণ
রসেবসে সান্ধ্য-বাসর মাতাবেন
ভোটের ঢালও তারা ঠিক করতে
আসরে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে আনবেন।
তারপর? শুরু হবে যখন ঝড়ের মাতন
হাওয়া বইবে যে দিকে যা প্রয়োজন।
তখন উতলা হয়ে জনগণ
শুরু করবে তাদের নাচন
শুনবে? কলাকুশলী ও বোদ্ধাগণ
জুটিয়ে দিতেও পারে ভোটের আগাম খবর
তবে একাজে তাদের বড়োই দর।
আগেভাগে ফেলতে হয় অঢেল কড়ি।
তারা বিনা কড়িতে শ্রম দেবে নাকি?
বাদবাকি কাজ করতে বর্গীরাও আছে বৈকি।
এসব কর্মকাণ্ড দেখে হলে কারো গাত্রদাহ
শুনে রাখো, এখন প্রভাব ফেলছে বৈরী গ্রহ?