হয়তো নেশায় মত্ত
মানব সভ্যতার উন্নয়নের ধ্বজাধারীরা।
তারা ভূগর্ভে যথেচ্ছ খনন কার্য চালিয়ে
প্রকৃতিকে করেছে ছারখার
বিকল করেছে প্রকৃতির অস্থি মজ্জা সার।
তারা হীন বুদ্ধিমত্তায় মানব সভ্যতার
উন্নয়ন ঘটাতে চায়নি প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে।
নির্বিচারে তুলেছে ভূ গর্ভস্থ পানীয় জল
তরল প্রাকৃতিক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ।
নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে
অবরুদ্ধ করেছে প্রকৃতির ধমনী
বাধাগ্রস্ত করেছে নদীর গতি সঞ্চালনে।
ক্ষণে ক্ষণে পৃথিবীর ভিত নাড়িয়ে
প্রকৃতিকে করেছে নড়বড়ে
চারিদিকে নির্বিচারে ঘটিয়েছে আরো কত কি!
তারা প্রকৃতির বুকে করেছে কত ক্ষত!
তারা হয়তো হতে চেয়েছে উন্নত শিল্পের বার্তাবহ
শিল্প ও মানব সভ্যতার উন্নয়নের নামে
মুক্ত বাতাস ও জল কে করেছে দূষিত
ফলশ্রুতি? এখন ভূগর্ভস্থ পানীয় জল প্রায় নিঃশেষিত
নয়তো প্রায়শ দূষণ কবলিত
মহার্ঘ বিশুদ্ধ জল, বাতাসও কলুষিত
তেষ্টায় রুদ্রবৈশাখে তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো দশা হলে
পিপাসা মেটাতে সহজে জোটে না বিশুদ্ধ পানীয় জল।
কলগুলিও ভূগর্ভস্থ জলের অভাবে প্রায়শ বিকল।
নগরায়নের ফলে এতোই বেড়েছে বায়ুদূষণ
এখন শ্বাস নিতেও কামারের হাপরের মতো
হাঁপায় বুক, অনুভূত হয় কষ্টবোধ।
উন্নয়নের ধ্বজাধারীরা কি ভেবেছে
অধিকার অর্জন করেছে যা ইচ্ছা করার?
এ পৃথিবীতে নেই আর কারো বাঁচার অধিকার?
তারা এ পৃথিবীর অনিষ্ট যা করলো
সেই তালিকা সুদীর্ঘ
কার আছে এত ধৈর্য ও অবকাশ
এ বিষয়ে সাতকাহন শোনার?
সবার এখন বোঝা দরকার
ক্ষতবিক্ষত প্রকৃতি সইবে আর কত?
সে এখন সইতে না পেরে যাতনা
যেন গলায় মুণ্ডমালা পড়ে নেমেছে মানবসভ্যতা সংহারে
মানুষ এখন বুঝছে হাড়ে হাড়ে সংকট শিয়রে,
প্রকৃতিও এখন রুদ্রমূর্তি ধরি'
বোঝাতে চাইছে সেও হতে পারে কত ভয়ংকরী।