করবে কী?
অভিজ্ঞতার ঝুলি উপরে দেখছ ঘটছে
কত কী!
দেখছ নিশ্চয় ভুল ছাড়াও বিশ্ববাসীর
অনেকের মধ্যে বড়শির মতো আঁকড়ে
ধরেছে পক্ষপাতিত্বের সাথে অবহেলার
দুরারোগ্য ব্যাধি।
মানুষের বুদ্ধিমত্তার কারণে তাই সমাজে
লেগেছে গ্রহণ। দেখছি এখন বহুক্ষেত্রে
পক্ষপাতশূন্য সঠিক সিদ্ধান্তগ্রহণও যেন
অস্তমিত সূর্যের মতো। ক্ষত করছে এই
সমাজের শরীরে।
হাড়ে হাড়ে উপলব্ধ হচ্ছে এ দশা চললে
মানবতাশুন্য কৃত্রিম মেধানির্ভর প্রযুক্তি
ছাড়া আর গত্যন্তর কী?
ভাবছো নাকি সেটি কী করতে পারে?
বলবো কী সেটি এসময় মানবতাশুন্য
সমাধানের নিয়ন্ত্রক শক্তি হয়ে উঠতে
পারে।
শুরুতে একবার বিমূর্ত তথ্যের যোগান
দিতে হয়।
তারপর?
কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব তথ্যের
সমুদ্র মন্থন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কখন
কী করতে হবে।
নির্ভুলতা?-ত্রুটি যৎ কিঞ্চিত হতে পারে।
যন্ত্রের ক্ষমতা আছে পূর্বের বিমূর্ত তথ্যের
উপর ভিত্তি করে কৃত্রিম মেধার সাহায্যে
পূর্বাজিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়
ভাবে কখন কী করতে হবে সেটিও শিখে
নেওয়ার।
হাড় হিম করার মতো ব্যাপার। যন্ত্র নিজে
লিখে ফেলছে প্রোগ্রাম। নিজেই রাস্তা বের
করে পক্ষপাতশূন্য সিদ্ধান্তগ্রহণের।
দেখছ ড্রোন কী করতে পারে? সে হয়ে
উঠছে না কৃত্রিম মেধানির্ভর পাখির চোখ?
ভাবতে অবাক লাগে সেটিই হয়তো হবে
আগামী দিনে বিশ্বের চালিকা শক্তি।
মানুষের হাঁটি হাঁটি চলার দিন লুপ্তপ্রায়।
যাই বলো সুইচ টিপে বসে থাকবে আর
ক’জন। অধিকাংশ মানুষকে ছুটতে হবে
যন্ত্রের সাথে।
কে জানে পরিণামে কত বিপত্তিও ঘটতে
পারে!
দেখো, এ বিশ্ব ছুটছে কৃত্রিম মেধানির্ভর
প্রযুক্তির চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের দিকে।