কে নির্দেশ দিলো
খেলার মাঠে সিসি ক্যামেরা লাগাতে?
সে নির্দেশে বলেনি তো কালো কাপড়ে
ক্যামেরাগুলো ঢেকে রাখা বারণ?
যখন খেলোয়াড়েরা মাঠে নেমেছে তখনো বোঝেনি
চলছে ক্যামেরার নজরদারি।
এক পক্ষ ভেবে এসেছে দেখাবে গা-জোয়ারি।
ফাউল হলে হোক, সেটি তো খেলারই অঙ্গ!
পেশাদার খেলোয়াড়দের খেলায় জিততে
কখনো সখনো করতে হয় খেলার বিধি ভঙ্গ।
তারাও ফাউলকে কাজে না- লাগিয়ে পারে?
চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ যেন ভয়ে পিছিয়ে পড়ে।
এক পক্ষের খেলোয়াড়েরা এই কৌশল
প্রয়োগ করলো খেলা শুরু থেকে।
তাতে বিপক্ষের কারো ভাঙলো কোমর, কারো উরু।
এক দু'জন নয়, অনেকে রক্তাক্ত হয়ে
মাঠে খেলো গড়াগড়ি।
স্টেচারে করে তাদের মাঠের বাইরে আনতে হলো।
সেই দলের বাদ বাকিরা
ভয়ে কুঁকড়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে এলো,
আর পেশাদারীরা হাসিমুখে জয় ছিনিয়ে নিলো।
এই দৃশ্য দেখে পরাজিত দল রইলো বেঁকে
চাইলো না এভাবে হার মেনে নিতে।
প্রতিবাদে মুখর হয়ে তারা ঘিরে ধরলো রেফারিকে,
দাবি জানালো তাকে, লঙ্ঘিত হয়েছে খেলার সব নিয়ম।
এখন রেফারি করবে কী?
ভাবছে কিভাবে করবে এই সমস্যার সুরাহা?
হয়তো ভরসা জোগাতে পারে একমাত্র সিসি ক্যামেরা।