দেখেছি বক রাক্ষসী করলো কী! পরিত্যক্ত
এক স্থানে এক শিশুকে কাঁদতে দেখে তাকে
নিয়ে গেল রাক্ষসপুরীতে।
এ কাণ্ড দেখে ভাবলো কাকাতুয়া কী জানি
কী আছে এ শিশুটির বরাতে? ভাবলো সে
শিশুর গলা টিপে ধরে করবে কি রক্তশোষণ
নাকি করবে তার প্রতিপালন?
এ কৌতুহল জাঁকিয়ে বসলে তার মনে সেটি
নিবারণে কাকাতুয়া রাক্ষসীর ঘরের ঘুলঘুলি
দিয়ে দেখলো সে করছে কী?
দেখলো পাখি, রাক্ষসী খাবারের সন্ধানে বের
হওয়ার সময় মরণকাঠি শিশুর শিয়রে রেখে
তাকে অচৈতন্য করে বের হলো।
ভাবলো পাখি, ভাবনার বৈকল্যে কত কী যে
ঘটে। রাক্ষসী, এ করলো কী?
তারপর? এ খবর দিতে উড়ে এসে আমড়া
গাছে বসে বললো, ‘শিশুটির দুর্গতিনাশিনীর
ভূমিকা পালন করতে গিয়ে রাক্ষসী করলো
হতবুদ্ধি সুলভ কাণ্ড!
বললো সে পথে দেখেছে, রাক্ষসী খাবারের
খোঁজে বেরিয়ে যেভাবে নিরীহদের গলা টিপে
মেরেছে সে আক্রোশে জনগণ লাঠি নিয়েই
বেরিয়ে পড়েছে। তাকে দেখলেই নাকি তারা
মারবে কষে।
দুর্গা-নাম জপ করে বললো পাখি, ‘এমন
ঘটনা অনভিপ্রেত হলেও কে বলতে পারে
কখন ঘটবে অঘটন?
রাক্ষসীর একথা ভাবা দরকার সমবেত
জনতার ক্ষোভ তার উপর ঝড়ের বেগে
এসে আছড়ে পড়লে কী হবে এই শিশুর
গতি? কে তাকে জাগিয়ে তুলবে শিয়রে
দিয়ে জিয়নকাঠি?'
বললো পাখি, 'দিন বদলেছে। মোবাইল
নিয়ে যদিও বনবন করে ঘুরছে রাক্ষসী,
তাকে এ কথা ম্যাসেজ করে জানালেও
গুরুত্ব দেবে না।
তবে যেভাবে বাড়ছে জনগণের বিড়ম্বনা,
ক্ষোভ উগরে দিলে আছে বৈকি বিপদের
সম্ভাবনা। কে জানে, তার মনে জাগছে কি
সে ভাবনা?