পাহাড়-বনানীতে হারিয়ে যেতে      
নিউ-জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে    
চলেছি অজস্র পর্যটকদের সাথে    
হিমালয়ের পাদে রূপসী জংগুতে।    


পাহাড়ের বক্রপথে দোলন শেষে      
মোরা হিমাদ্রির অশেষ করুণায়      
পৌঁছেছি কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে      
বনানী ঘেরা জংগু-র সীমানায়।


সেথায় নিবিড় নিস্তব্ধতার মাঝে
রঙ-বেরঙ্গের প্রজাপতি বিরাজে।  
ওরা অপরূপা মায়াবতীর দেশে
ওড়ে সৃষ্টি-সুখের অনন্ত উল্লাসে।


সেথায় শুনেছি তিস্তার কলধ্বনি
বিজন প্রদেশে একাকী সঞ্চারিণী।
পর্বতের পাদদেশের ঝরনা-তলে
লেপচা নারীরা যাচ্ছে দলে দলে।


জল নিয়েই সদলে ফিরছে তারা
সুনীল নভতলে প্রকৃতি মনোহরা।
ছড়িয়ে রয়েছে বহু উষ্ণ-প্রস্রবণ    
ক’জন উল্লাসে করছে অবগাহন।


আদিবাসীরা সতত সারল্যে ভরা
অতিথির আপ্যায়নে ব্যস্ত তারা।
লেপচারা অতিশয় সংস্কৃতি মনা    
বিনম্রে স্মরণ করি সেই সাধনা।


এই সফর শেষে ফিরেছি যখন
কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছে সঁপেছি মন।
অবসরে একাকী ভাবি অনুক্ষণ
বিফলে যায়নি জংগুতে পর্যটন।