শুনেছি লোকে বলে রোজ সন্ধ্যা হলে
‘প্রতিবাদী’ নাকি উল্কার মতো
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছোটে সমাজের মুখ হতে,
আসরে আলো করে বসে চেষ্টাও করে
দক্ষ রাজ-বদ্দির মতো সমাজের ক্ষতে
জরিবুটির প্রলেপ দিতে।
সমাজে তার গ্রহন যোগ্যতা?
-সে নিয়ে তার ভাবনা নেই মোটে।
জানতে ইচ্ছা হলো কী তার পরিচয়?
স্বপনে আলো-ছায়ায় তাকে দেখে
চেষ্টা করেছি উদ্দীপনার সলতে উস্‌কে দিয়ে
তাকে চিনে নিতে কিন্তু চেনা গেলো না
কেননা ধোঁয়াসায় ঢাকা।
লোকে বলে, তাকে চেনাও বড়োই শক্ত।
দক্ষও রক্ত জল করে তাকে চিনতে পারে না।
সত্যিই তো, কে সব ফল চিনতে পারে?
মাকাল ফল ক’জনে চেনে?
বলেছি তাকে, যাই ভাবো,
চিনতে তোমাকে কিছু প্রশ্ন করি
আশা করি, দেবে সে উত্তর।
গড়গড় করে জিজ্ঞেস করেছি তাকে,
'কী তোমার পরিচয়?
তুমি কি আম, তেঁতুল,পানিফলের মতো কোনও ফল?
জলে না উর্বর জমিতে বাস তোমার?
জোটে কি ইচ্ছা মতো খাদ্য খাবার?
তোমার রঙ কি নজর কাড়া?
গাছে ঝুললে ঝড়-জল সইতে পারো?
নাকি তেমন হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ো?
পছন্দ নাতিশীতোষ্ণ নাকি চরম ভাবাপন্ন জলবায়ু?
দেখা মিলে কি সারা বছর? নয় তো আয়ু কত দিন?
জলে যদি বাস, পাঁক গায়ে কি মাখতে পারো?
ঋতু-ভিত্তিক ফসল হলে সেও বলতে পারো।
ধরো ঋতু-ভিত্তিক ফসল,
তেমন হলে কোন ঋতুতে তোমার দেখা মেলে?
ঝুলে থাকো ডালে না মূলে?
গড়ন কেমন? ছিপছিপে না মোটা সোটা?
বোঁটাকে কিভাবে ধরে রাখো?
-শক্ত, নাকি হালকা ভাবে?
বাদুড়ের মতো কি ঝুলতে পারো?
গায়ে লাগলে একটু ঝড়ো হাওয়া
গাছ শিকড় সমেত উপড়ে যাওয়ার মতো হলে
তুমি বোঁটা ছাড়িয়ে ভিন গাছ জড়িয়ে ঝুলতে পারো?
নাকি হাত ফসকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ো।'
বলি, এখনি সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া
সম্ভব না-হলে ঘরে শুয়ে বসে ভেবেচিন্তে
ফেবুতে লিখে জানিও।