বলবো কী
প্রায়শ কী যে ঘটে মনের ভেতর!
কার না সেসময় জানতে ইচ্ছা হয়
এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির রহস্য?
ইচ্ছা হতেও পারে বৈকি, সে রহস্যের জটাজাল ধরে
আঁকড়ে থাকতে যতই ভাবনা জাগুক মনের গহিনে,
অঙ্কুরিত হয়ে তরতরিয়ে বেড়ে উঠুক না-কেন
মহীরুহের আকার ধারণ করলেও ক্ষতি নাই।
সুপারনোভার ক্ষেত্রে কী ঘটে, সে ভাবনা?
সেসব মনে জাগলেও ক্ষতি নেই ।
উপায় আছে কি ‘স্বয়ম্ভু’ এর মতো কিছু
আঁকড়ে না-ধরে থাকার?
দর্শনকে এ বিষয়ে না-জড়িয়ে বলতে ইচ্ছা হয়,
বিজ্ঞানের নিরিখে হয়তো সেটি পদার্থ কিবা শক্তি
নয়তো উভয়েই একত্রে,
ভাবতে ক্ষতি কি শক্তি সেই মূল রসদ, যেন স্বয়ম্ভু!
যা বহাল রয়েছে আবহমান।
এ পর্যায়ে কারো সন্তুষ্টি নাও আসতে পারে।
সে সম্ভাবনা দাঁড়ালে ভাবনার জটাজাল ধরে
আরও উপরে উঠতে চেষ্টা করলে ক্ষতি কী?
ভাবাও যেতে পারে তারও উৎস আছে কি?
তারও সৃষ্টির রহস্য!
সুপারনোভার ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটে, তেমন কি?
তবে প্রশ্ন, সেই অতি-নক্ষত্রের পদার্থের উৎস?
সেই পদার্থ গড়ে উঠলো কি একেবারে শূন্য থেকে?
সেও বৃথা কল্পনা, কেননা তার জন্যও শক্তির দরকার।
ভাবতে ক্ষতি কি,
আছে কি শক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা, একেবারে শূন্য থেকে?
সেও অসম্ভব, কেননা তার জন্যও পদার্থ দরকার
ভাবো, পদার্থ ও শক্তি কিছুই নাই,
সে অবস্থায় এদের যে কোনও একটি কি পাওয়া সম্ভব
একেবারে শূন্য থেকে?
অসম্ভব মনে হয়,
তাছাড়া বাস্তবে, একেবারে শূন্যের অস্তিত্ব?
সেও ধরাছোঁয়ার বাইরে, কল্পনায় হয়তো চলতে পারে।
যাই বলো, মনে হয় 'স্বয়ম্ভু' হয়তো কিছু ছিল
সেই অনাদিকাল থেকে,
হয়তো বিছানায় শুয়ে স্বয়ম্ভুকে পাশ বালিশের মতো
আঁকড়ে ধরে ভাবতে হবে বাদবাকি এলো কোত্থেকে?
এ ছাড়া আর উপায় কী?
হয়তো অনাদিকাল সেই অবস্থা থেকে চলছে
পরিবর্তের ধারা, চক্রাকারে।
প্রাণীজগতের উদ্ভাবন হলো,
বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বিবর্তনের ধারা মেনে
সভ্যতার অধুনা অবস্থায় উত্তরণ, সেও।
ভাবতে হবে বৈকি এই উত্তরণ চলবে কি চিরকাল?
বলার অপেক্ষা রাখে না সে হওয়ার নয়,
অবক্ষয় শুরু না-হলে কি চলে?
চলতেই হবে, হয়তো নামতে হবে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে
বেশ তরতরিয়ে, ধ্বংসাত্মক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে।
দেখেছি, মানব সভ্যতার ইতিহাস ঘেঁটে
সে অবক্ষয় আগেও হলো বারবার
তারপর? গাছ খুব বাড়লে তাকে যেমন ছাঁটতে হয়
বিপর্যয়ের সম্ভাবনা ঘনিয়ে এলে।
আছে কি এই সভ্যতার অবলুপ্তির সম্ভাবনা?
সেও হতে পারে কালের নিয়মে
বুদ্ধিতে শ্রেষ্ঠ মানুষের হাত ধরে।
পরে হয়তো আবারও সৃষ্টির সূচনা
সমগ্র ঘটনা চক্রাকারে চলতে পারে।
হয়তো এখন যুদ্ধশেষের সময় হলো
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মতো ঘটতে যাচ্ছে!
দেখছো না কি আকাশ কালো মেঘে ঢাকা?
আছে বৈকি, ঝড় ঝঞ্ঝা ও বজ্র-বিদ্যুতের সম্ভাবনা।
যুদ্ধের খবর?
হয়তো এখন এর শেষ পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে
রক্তক্ষয় কম হলো কি?
কর্ণ বধ হয়তো এখনও বাকি!
ভাবছো, সে অজেয় হবে না কি?
নেই সেই সম্ভাবনা,
হাতছাড়া হলো নাকি তার কবচকুণ্ডলী?
হয়তো এবার থামবে তার রথের চাকা
যুদ্ধ, যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে
এখন শুধুমাত্র বাদবাকিটুকুর অপেক্ষায়।