যে ঝড় চারদিকে তোলপাড়
করছে এখন তারও পূর্বাভাষ
ছিল।তখন আকাশের কালো
বসন দেখেও হলো অনেকের
মতিভ্রম।কারণ বুঝে নেয়ার
চেষ্টা করেনি কখনও।
শিবের অনুচর নন্দী ভৃঙ্গির
তাণ্ডব লীলা দেখে এ সময়
বুঝে নাও শুরু হলো ঘোর
দুঃসময়।
বলো,পা-দুটি টলমল করছে
নাকি?মনে জাগছে কি এখন
ভয় ভীতি?সে রকম বুঝলে
জাপটে ধরো খুঁটি।
বিজ্ঞেরা বলেন,দুঃসময় নাকি
দাগ কেটে দিয়ে যায় যাওয়ার
সময়।বলি,আসার আগেও সে
বাঁশি বাজায়।কান দু’টি খোলা
রাখলে শোনা যায়।শুনেছি বহু
বার প্রকৃতির কান্নায়।
করুণ সেই সুরটি ভেসে আসে
বহুদূর থেকে।যখনি সেটি শুনি,
ধরে নি’ ঝড় আসবে এখনই।
বুঝি না স্রষ্টার কী মতি গতি,
তবে তাই শুনে ভয়ে আঁতকে
উঠি।
শব্দগুলো কতটা মর্মস্পর্শী,সেটি  
কি ভাবে বোঝাবো তোমাকে?
শুনে রাখো,যে বটগাছের নীচে
দাঁড়িয়ে একথা বলছি তোমাকে,
এ বিধ্বংসী ঝড় আসার আগে
তার মরা ডালপালায় বসে বহু
শঙ্খচিল গলা উঁচিয়ে করেছে
গগন-ভেদী চিৎকার।
এরপর ওরা সকলে মিলে এই
আকাশকে করলো তোলপাড়।
প্রকৃতিকে যেন দুমড়ে মুচড়ে
করলো ছারখার।  
প্রলয় সংকেত!বুঝতে পেরেছি
সাথে সাথে।দেখেছি এ তল্লাটে
সে সময় যে যেখানেই ছিলো,
সকলে ঘরমুখো ছুটলো তড়িৎ
গতিতে।
বলছি,সবেমাত্র ঝড় উঠলো।
পরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেখে
নিও।