বলা ভালো
তার সাঁতার শেখার খুব ইচ্ছা ছিল
ফ্রি-স্টাইল, ব্রেস্ট স্ট্রোক, বাটার ফ্লাই ও ব্যাক স্ট্রোক সব।
মনে ঝোঁক ও চেপেছিল খুব
ভেবেছিল, সারাদিন সাঁতার কাটবে
জলে ভাসবে, ডুববে, জলে ছুটে বেড়াবে
একেবারে ডলফিনের মতো।
সাঁতার প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেবে
উল্লাসে মেতে উঠবে
পূর্বতন সব বিশ্বরেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায়  
একে একে ভাঙতে চেষ্টা করবে সেসব।
কিন্তু অনেক প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছিল
অ্যাথলেট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে।
বলেছিল, ‘সাঁতার, তার জন্য উপযুক্ত নয়।
সাঁতার কাটতে হলে দম থাকা চাই খুব
হাত-পা ও খুবই ছুঁড়তে হয়,
জলে ভেসে থাকার অভ্যাস? সেও।
জলে ভেসে থাকতে না পারলে
সলিলে ডুবে হাবুডুবু খেতে হয়।
কিন্তু তার ইচ্ছা দক্ষ সাঁতারু হওয়ার,
যার যেমন ভাবনা, লাটিমের মতো ঘুরপাক খায় মগজে।
সেই প্রশিক্ষকদের পরামর্শ শুনতে তার ইচ্ছা হয়নি মোটে।
বললো তাদের, ‘চেষ্টা করে দেখতে দোষ কোথায়?’
অবশ্যই, পরামর্শ দাতারা তার কথায় সায় দিলো।
পরবর্তীতে তাই হলো ,
ক’দিন যেতে না যেতেই সে প্রশিক্ষক জুটিয়ে নিলো
একদিন সাত সকালে সাঁতারের পোশাক পড়ে
উল্লাসে সুইমিং পুলে সাঁতার শিখতে নামলো।
বছর খানেক পরে জানা গেল
সে এখন সাঁতার শিখেছে বটে, একটু আধটু!
সাঁতার শিখতে গিয়ে প্রথমে ডুবে ডুবে জল খেলো
তারপরও দীর্ঘ দিন গেল,
সে এখনও হয়ে উঠতে পারিনি দক্ষ সাঁতারু
সাফল্য? সেও জোটেনি বিশেষ?
সাঁতারের বেশভূষা পাল্টে ঘরে ফেরার আগে
সেদিন সূর্য প্রায় অস্তমিত, আকাশটা লাল
সে সময় তার কী যে হলো
মন্দ বরাত বলা ভালো,
তার প্রশিক্ষকের পোষা কুকুর আচমকা তাকে কামড়ে দিলো।
ভেবেছিল, কী হবে পোষা কুকুর কামড়ালে?
কিন্তু সে ভাবনা বৃথা হলো,
এখন জল দেখলেই তার ভয়
মনে হয়, রোগ বেঁধেছে বাসা,
হয়তো জলাতঙ্ক!