মেঘে ঢাকা আকাশ, আঁধার ঘনিয়ে আসতে নেই বাকি
মাছি, এ সময় বনবন করে উড়ে করছো কি?
দেশ মাতৃকার কষ্ট উপলব্ধি করে জীবন বাজি রেখে
চারিদিকে পূতি গন্ধময় এ সমাজের গন্ধ শুঁকছ কি?
খুঁজতে গিয়ে মাকড়সার জালের মতো
কতদূর ছড়িয়েছে দুর্নীতির জাল হচ্ছো নাকাল?
খাল কেটে কুমীর ডেকে আনার ফলে অনর্গল
কাল নদীতে গড়িয়েছে কত পঙ্কিল জল?
হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে এ দেশের জনগণের অর্থ পাচার?
দেখছ জনজীবন কিভাবে হয়েছে ছারখার?
কে জানে, কিভাবে কতদূর অবধি হয়েছে এর বিস্তার!
দেখছ অশ্রু ঝরা দু’চোখ বিষণ্ণ এই দেশমাতার?
ভাবছো আর কত অশ্রু ঝরালে দুর্দশা ঘুচবে তার!
ভীষ্মের মতো তাকে কতকাল থাকতে হবে শরসজ্জায়।
মেঘদূত ভাবছে কি অধিকার করেছে স্বরাজ?
দেখো এখনো সে মেঘের অন্তরালে করছে বিরাজ।
মাছি, ওই দেখো মায়ের বীর সন্তানেরা নেমেছে পথে
তাদের জানিয়ে দিয়ো
আজ নেমেছে যখন মায়ের ক্রন্দন ঘোচাতে
দাঁতে দাঁত চেপে এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে
হয়তো চিন্তার ছাপ পড়ছে ললাটের ভাঁজে ভাঁজে।
দেশমাতার এই দুর্দশা ঘোচাতে যতই কষ্ট হোক
মেঘদূতের তীর যতই এসে শরীরে বিঁধুক
ফিনকি দিয়ে যতই রক্ত ঝরুক
এই কাজ সম্পন্ন না-করে পাবে না নিস্তার।