ভালো লাগে কি বলতে তেতো কথা?
তবু পরিস্থিতি বৈরী হলে না-শোনালে
নয়। যদিও এ নিয়ে অজস্র নরনারীর
নেই কোনও মাথা ব্যথা।
সংকট শিয়রে। বাঘের পাল যে কোনও
সময় অসহায় মানুষদের উপর ঝাঁপিয়ে
পড়তে পারে। তখন এক যোগে সকলে
‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে করবে চিৎকার।
মরতে হবে সকলকে। কে,কাকে বাঁচাবে?
তাই আগে ভাগে সতর্কবার্তা শোনাতেই
পাগলের প্রলাপের মতো অনর্গল সেকথা  
বলতে হবে।
জানি,এখনি অনেকের কান ঝালাপালা।
তার উপর শুনবে আর কত? তবুও যা
দিনকাল পালাবার পথ নাই। যে যাই
ভাবুক না-কেন এ কথাটি বলতেই হয়
বিগত বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত শুকায়নি আজও।
তারি মাঝে যুদ্ধে জড়ালো এখন দু’দেশ
রাশিয়া ও ইউক্রেন।
মানবতাকে তুললো চিতায়।অস্ত্রের আঘাতে
দাউ দাউ করে জ্বলছে মানবতা! আকাশ
ছেয়ে গেছে কালো ধোঁয়ায়। অসহায় সব
মানুষ দিশেহারা।বেড়িয়ে পড়ছে নিরাপদ
আশ্রয়ের খোঁজে। গৃহহারা এই মানুষদের
খোঁজ রাখে কে? দেশান্তরে পাড়ি দিতে
গিয়ে অস্ত্রের আঘাতে মৃত শতসহস্র শিশু
ও নরনারীর লাশ পড়ে থাকছে পথেঘাটে
ইউক্রেনে ইতস্তত ও বিক্ষিপ্ত। হতাহতের
খবর এখন আর রাখে কে? দুখের বিষয়
হলেও সত্য। তবুও মেটেনি প্রত্যক্ষ কিবা
পরোক্ষে যুদ্ধে লিপ্ত রাষ্ট্রগুলোর আশ।
দুয়ারে আবার কড়া নাড়ছে এখন আরও
এক বিশ্বযুদ্ধ। শুরু হলো তার ছায়া যুদ্ধ।
ইন্ধন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো। ইউক্রেনের
পক্ষে অস্ত্র যোগাচ্ছে ক্রমাগত। কে বলতে
পারে অচিরে শুরু হবে না তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ
সরাসরি?
মানবিক মূল্যবোধকে পদদলিত করে যুদ্ধে
লিপ্ত হলে কে, কবে ভাবে কাদের দোষে
উপচে পড়ছে এখন সব শরণার্থী শিবির?
ভাবলে শিহরণ জাগে মরবে মানুষ আর
কত?