‘প্রকৃতি’! হতে পারো জীব জগতের প্রাণভোমরা,
তোমাকে ছাড়া টিকিয়ে রাখাও যায় না কখনোই
জীবনধারা।
দেখছ নিশ্চয় সমগ্র বিশ্বের রাষ্ট্রগুলি উন্নয়নের
সাথে বেঁধেছে গাঁটছড়া আর সে কাজটি করতে
গিয়ে তোমার টুটি চেপে ধরছে কষে।
ভাবছি, দিশেহারা না-হলে তারা এ কর্মটি করে
কোন সাহসে?
এ কথা বলতে হয়, ‘তোমার ভারসাম্য বজায়
রেখে সে কাজ হলে হোক, ক্ষতি কী?
প্রকৃতি! নিয়ত যে প্রশ্নটি মনে দিচ্ছে উঁকিঝুঁকি,
‘নগরায়ণ করতে গিয়ে তোমাকে নিয়ে মানুষ
ভাবছে কি? নজরে রাখছে কি তোমার ভারসাম্য
রক্ষিত হচ্ছে কিনা’।
প্রকৃতি! দেখছ নিশ্চয় তাদের কাণ্ডখানা, তোমার
উপর জীবদের নির্ভরশীলতাও যেন তারা ভুলতে
বসেছে।
একথা ভাবছো কি ডুলি সেজে ধ্বংসাত্মক কাজে
লিপ্ত ব্যক্তিরা জীবদের নিয়ে যাচ্ছে কোন অমূলক
দেশে?
জানো কতিপয় বিজ্ঞ বলেন, প্রকৃতি নষ্ট না-করে
উন্নয়ন অসম্ভব। উন্নয়নের স্বার্থে এ কাজ করতে
হচ্ছে।
এ কথা শুনে ভাবি, ‘নদীতে বান ডেকে আনতে
তারা কি সঠিক ভাবনার দোরে খিল এঁটে বসে
আছে?
তারা ভাবছে না মোটেই প্রকৃতি নিধন করে যে
উন্নয়ন ক্রমাগত চলছে সেটি ভোগ করার জন্য
পরবর্তী প্রজন্ম টিকে থাকবে কি?
জানি না, প্রকৃতির ভারসাম্য ছারখার করছে যারা
তারা ভাববে কিনা, ‘প্রকৃতিকে নিধন করে এমন
উন্নয়ন সঙ্গত কিনা!
পরিবেশ দূষণ? বলার অপেক্ষা রাখে না সেটি ও
বাড়ছে ক্রমাগত।
বজ্রগর্ভ মেঘ জমছে আকাশে। মাঝে মাঝে অশনি
ধেয়ে আসে।
ভাবছি বসে দিশেহারা মানুষের কর্মকাণ্ডে যে দিকে
গড়াচ্ছে উন্নয়নের চাকা, কে বলতে পারে অচিরে
পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে?