হাতে দেশলাই
তাই নিয়ে করতে গিয়ে খেলা
এবেলা আগুন দিয়েছিস প্রতিবেশীর চালা ঘরে।
হায়রে, ধরলো কি তোর ভীমরতি?
বোঝা দুষ্কর তোর মতিগতি
চেয়ে দেখ অথর্ব সে ঘর দাউ দাউ করে জ্বলছে
চারপাশের বসত বাড়িতে ও আগুন ছড়িয়ে পড়ছে
আকাশ ঢাকছে কালো ধোঁয়ায়
এ কালবেলায় অসহায় গাঁয়ের লোকজন
আগুনের লেলিহান শিখা দেখে দিশেহারা।
বুঝেছে তারা এ আগুন নেভানো দুঃসাধ্য
বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার্থে পালাচ্ছে ঘরদোর ছেড়ে
কে জানে কোথায় ঠাঁই নেবে কোন সুদুরে।
তোর গায়ে হয়তো এখনো লাগেনি আগুনের তাপ
এ অবস্থায় হয়তো ভেবেছিস থাকবি সুখে
এ দৃশ্য দেখেও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মজেছিস উল্লাসে
জেনে রাখ, দেখবি ঘরের দাওয়ায় বসে
আগুন নিভে যখন এ গ্রাম হারাবে প্রাণস্পন্দন
চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে পালাতে অক্ষম
আবাল বৃদ্ধ বণিতা ও গবাদি পশুদের ঝলসানো মরদেহ।
গায়ের আবহ হবে শ্মশানের মতো
ঘুরে বেড়াবে শত শত বন্য শৃগাল।
দেখ, তোর ঘরের দিকেও ধেয়ে আসছে
আগুনের লেলিহান শিখা
শকুনেরা পাখা মেলে উড়ছে আকাশে
চারদিক অন্ধকারে ছেয়ে গেছে।
এখন আর একটু অপেক্ষামাত্র
তোকেও ছুটে পালাতে হবে প্রাণভয়ে।
এ গায়ে শ্মশানের বিষন্ন পরিবেশ হবে যখন
তোর ঘরদোর কাকতাড়ুয়ার মত দাঁড়িয়ে থাকলেও
বলবি, তখন তোর ঘরে কে জ্বালাবে সন্ধ্যাপ্রদীপ?