ঢেকেছে আকাশ ঘন কালো মেঘে। বীরবিক্রমে মেঘ গর্জন শুরু করলো চারিদিক থেকে।
ঝড়ের পূর্বাভাস। দেশমাতার মনে অঘটনের আশঙ্কা। ঝড় উঠলে
ভাঙতে পারে তার চালাঘর।
সেই আশঙ্কায় মুখভার করে সে চালাঘরের নড়বড়ে খুঁটি আগলে ধরে বসে পড়লো। ভয়, এ যাত্রায় কি জানি কী হয়?
বেশি দেরি হয়নি, একেবারে সন্ত্রাসী কায়দায় হঠাৎই ছুটে এলো দমকা হাওয়া।
উত্তাল হলো নদী। পরিস্থিতি যেদিকে গড়ালো সেই সময় দক্ষ কাণ্ডারীর পক্ষেও কষ্টকর নাও বাওয়া।
দেখেছি, কে জানে কোত্থেকে, চামচিকার মতো উড়ে এলো এক অনভিজ্ঞ কাণ্ডারী। সাহসে বলিহারি। নাওয়ের হাল ধরতে গেল গা- জোয়ারি। অদূরে দেখা গেল লাল বিপদ সংকেত।
ভাবেনি সে সেই সময় নদীতে নাও ভাসালে সেটি ডুবতে পারে, বিপদ শিয়রে।
যাত্রীদের ক’জন করলেও বলাবলি সে শোনেনি কারোর কথা, সাহস দেখাল অযথা।
নাও ভাসালো উত্তাল নদীতে। সাথে সাথে যা হওয়ার হলো তাই। নাও ছুটলো দুরন্ত গতিতে।
অবস্থা বেগতিক। সেটি দুলতে শুরু করলো এদিক সেদিক। ছিঁড়লো পাল দুরন্ত হাওয়ায়। সাধ্য কী কাণ্ডারীর, দাঁড় বাইবে সঠিক নিশানায়?
কে জানে, যমরাজ জারি করলো কি তাদের মৃত্যু পরোয়ানা!
শুরু হলো যাত্রীদের আর্তনাদ। বোধ হয়, ডানা ঝাপটাতে শুরু করলো যাত্রীদের বুকের খাঁচার পাখি।
ঝড় থামতে এখনো বাকি। কে জানে, কাণ্ডারী ও সমস্ত যাত্রীরা করবে কী!