বলতে দ্বিধা কী,
'বুঝলেন বিগত নির্বাচনে জনগণের নির্বাচিত
জন প্রতিনিধি, স্মৃতিতে আজও ভাস্বর বিগত
নির্বাচনের আগে সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে একগাল
হাসি দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন কত কী!
গ্রহতারা সাক্ষী। বলেছিলেন নয় কি, সামাজিক
সমস্যাগুলোর সমাধানে যথাযথ ভূমিকা নিয়ে
ওদের সমাধানে বাড়াবেন গতি।
সামাজিক উন্নয়নের জন্যও দিয়েছিলেন বহু
প্রতিশ্রুতি।
জনগণের বিশ্বাসের আঁতুর ঘরে ঢুকতে পারলে
ঘটতে পারে কত কি! হলোও তাই। জনগণ
আপনাকে বিশ্বাস করে জিতিয়ে এনেছিল
নির্বাচনে।
কে জানে, কি ভেবেছেন তখন! তারা আপনার
উপর যে দায়ভার সমর্পণ করলো তার সুরাহায়
কতটা সদর্থক ভূমিকা পালন করলেন?
আকাশে কালো মেঘেরা দিশাহারা। তারাও এর
উত্তর খুঁজতে পাগলপারা।
মনে পড়ে, জনগণ তাদের সব সমস্যাগুলো
মনে করিয়ে দিতেও কতবার গেছে আপনার
দুয়ারে?
বলবেন, আজ অবধি সেইসব সমস্যার কতটা
সুরাহা হলো? কতগুলো প্রতিশ্রুতি বানের জলে
ভেসে গেল?
আবারও বেজেছে নির্বাচনের ঘণ্টাধ্বনি। জানি,
একবার পেয়ে গেলে সুখের বাসর, সেটি ছেড়ে
আসা অনেকের পক্ষেই কষ্টকর।
কে জানে, আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে? আবারো
হবেন কি নির্বাচনের মুখোমুখি? আবার নেবেন
জনগণের রায়? আবারো জনগণকে ভাসাবেন
প্রতিশ্রুতির বন্যায়?
বলি, আপনাকে করতে অবগত বিগত পাঁচ
বছরের আপনার কাজের স্কোর কার্ড এসময়
জনগণের হাতে। তারা বসে আছে আপনার
স্কোর নির্নায়কের আসনে।
কে জানে, কী আছে আপনার বরাতে! তারা
এখন ইভিএম মেশিন হাতের নাগালে পেলে
করবে কী?