পথিক আমি, গত চৌদ্দ বছরে অনেক পথ পেরিয়ে এসেছি
পথে দেখেছি শুধুই ধূসর মরুভূমি
অনুভূত হয়েছে ভয়ানক জল-তৃষ্ণা, ফাটছে যেন বুকের ছাতি,
এ কষ্ট কত আর সহ্য করা যায়?
তবু সইতে হয়েছে ভয়ানক দুর্গতি!
খাঁ- খাঁ রোদ্দুরে, তপ্ত বালিতে যতই পথ পেরিয়েছি
জল তৃষ্ণায় প্রাণ হয়েছে ওষ্ঠাগত, মৃত্যুর কোলে ঢলে পরার মতো।
ভেবেছি সামনে হয়তো খুঁজে পাবো কোনও এক মরূদ্যান,
গলা ভেজানোর একটু জল পেলেই ফিরে পাবো প্রাণ।
কে জানতো, সেই ভাবনা সফল হওয়ার নয়, সবই মিছে!
এ যেন মরুভূমির বালিতে উটের মতোই মাথা গুঁজে আছে।
চারদিকে যতদূর চোখ যায়, কোথাও জল নেই
গ্রীষ্মের খাঁ খাঁ রোদ্দুরে তৃষ্ণার্ত চাতক পাখির মতো
বন বন করে ঘুরেছি একটু জলের আশায়।
মরূদ্যান খুঁজতে গিয়ে প্রচেষ্টা বিফলে গেছে
আরো কত মানুষের চেষ্টা তপ্ত বালিতে মিশেছে,
মরতে হয়েছে না- পেয়ে সামান্য একটু পানিয় জল।
শুনেছি দুঃস্বপ্নের নগরীতে এমন কত কী ঘটে!
দেখেছি তপ্ত বালির উপর লাশের পাহাড়!
ভেবেছি, এই কি ইচ্ছা ছিল বিধাতার?
এই দৃশ্য দেখে ক্যাকটাসের মতো শরীরে বিঁধেছে কাঁটা।
অনুভূত হয়েছে যেন ভয়ানক মরণ যন্ত্রণা।
সে কত আর সহ্য করা যায়?
অসহ্য, দম বন্ধ হয়ে আসছে!
ভাবছি, বোধ হয় পড়েছি দুঃস্বপ্নের করাল গ্রাসে।
কে জানে, কোথায় দাঁড়িয়ে আছি!