সাধ ছিল। বেশ তো ইচ্ছেঘুড়ি ওড়ালে
লাটাই থেকে হরদম সুতোও ছাড়লে।
মনে পড়ে ইচ্ছেঘুড়ি উড়েছে যখন বনবন করে
মনে আনন্দ উল্লাস আর কি ধরে রাখতে পারে?
আরো আরো সুতো ছেড়ে আনন্দ সাগরে ভাসলে
অবলীলায় সেটিও পাড়ি দিলে।
পরে লাটাইয়ের সুতো ফুরলে
ঘুড়ির সুতোতে পড়লো যখন টান
দেখলে ইচ্ছেঘুড়ি বড়োই বেমানান
সুতো ছিঁড়ে যাওয়ার উপক্রম
কষ্টসাধ্য ঘুড়িকে করতে নিয়ন্ত্রণ।
অগত্যা উপায়? -দৌড়লে ঘুড়ির সাথে সাথে
যাতে সুতো না-ছিঁড়ে
মরুভূমির তপ্ত বালির উপর দিয়েও ছুটলে।
হিসাব কি রেখেছ সামলে চলতে না-পেরে
কতবার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে?
জল পিপাসায় যখন কাবু হলে
হয়তো ভেবেছিলে অচিরে মরুদ্যানে পৌঁছবে
সেখানে পিপাসা নিবৃত্তির জলও জুটবে
হলো কী? -বহু পথ পেরিয়ে এসেছ বটে
ছট পট করছো, জল তেষ্টায় প্রাণ ওষ্ঠাগত,
তবু পেলে না মরুদ্যানের সন্ধান
‘জল চাই জল’ বলে চাতকের মতো করলে চিৎকার
বিধাতার কাছেও জলের জন্য জানালে আকূতি
কী জানি, হয়তো জুটতে পারে তার সহানুভূতি
দেখো, ওই দূরের পাহাড়ের চূড়া থেকে
হিমবাহ গলে আসছে এদিকে
তবে, কী জানি সেই জল কতদূর গড়াবে?