আবদার তো মন্দ নয়, করেছে নাকি ঘরজামাই  
শশুরবাড়ি পৌঁছতে তার আর দু’দিন সময় চাই  
দূরভাষে শ্যালককে ডেকে সেই কথাই বলেছে
ব্যস্ত খুবই, বেশি কথা বলারও তার সময় নাই।


খবরটা গিন্নীর কানে গেলে কাঁদতে শুরু করেছে
ভাবছে, কেন স্বামী সাতসকালেই ঘর ছেড়েছে!
সে না-জানিয়ে এভাবে আগে তো কখনও যায়নি
কে জানে, কোনও দুর্ভাবনা তাকে ছেঁকে ধরেছে!


বড়-পিসী এই খবর শুনেই ঠাকুর ঘরে ঢুকেছে      
বলছে, ‘ঠাকুর, দেখো এ মেয়ে কেঁদে ভাসিয়েছে
কে জানে, জামাইবাবা ক’দিন কেন কুঁকড়ে ছিল
জানিনা কোনও দুর্ভাবনা কি তাকে ছেঁকে ধরেছে!'


বলছে পিসী, ‘কে জানে, সে এখন কোথায় আছে?
শুনেছি গোয়েন্দারা হন্যে হয়ে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে
‘ও ঠাকুর, ওরা যেন তার টিকিও ছুঁতে না-পারে
ধীরেসুস্থে দু’দিন পরে ঘরে ফিরলে কী যায় আসে?’