‘অনেক তো হলো,এবার ছাড়ো’
এ কথাটি বলেছি আগেও বহুবার,
শোনোনি সে কথা।সে’ বাক্যব্যয়
হলো বৃথা।
পাগলপারা মন টি তখন চশমার
সবুজ কাচের ভিতর দিয়ে হয়তো
খুঁজেছে সামনে কোনও তপোবন।
একবারও তাকাও নি ফিরে।
ভাবো,কতখানি করলে এ জীবনের
ক্ষয়ক্ষতি।জানি,কী বলবে এখন,সে
ছিল নিয়তি।
নেশা,দিলো আত্মহত্যার উসকানি।
সিগারেটের কালো ধোঁয়া জানিয়ে
গেছে আগে,‘কিছুই পাওয়ার নেই
এই জ্বলন্ত সিগারেটের কাছে,সমূহ
ক্ষয় ক্ষতি ছাড়া।নিকোটিনের গন্ধ
ছড়ালো,তখন সেও ভালো।মনটা
যে তখন সেই গন্ধেই মাতোয়ারা।
খোঁজেনি কাড়া-আকাঁড়া।
দেখেছি লাগলো আগুনের ছ্যাঁকা
আঙ্গুলে,তবু তাকে করোনি তুমি
হাতছাড়া,সুখটান দেওয়ার একটু
প্রত্যাশায়,যেমন ঘটে বেকারত্বের
জ্বালায় রাজপথের মিছিলে যুবক
যুবতীদের জুতোর সুখতলার।  
দেখছি এখন,প্রত্যাশা পূরণ দুরস্ত
বরং শুয়েই আছো অপারেশনের
টেবিলে।
পরীক্ষার সব রিপোর্ট গুলো দেখে
ডাক্তারবাবু কী বলে গেলো,সেকি
শুনেছো?ফুসফুস হলো একেবারে
বিনষ্ট,গতি নেই আর অস্ত্রোপচার
ছাড়া।
বলো,কী পেলে নিজের জীবনকে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে?