বোধ হয় এখন মোটেই সমীচীন নয়
মৃত শাখা প্রশাখাদের ভারে নুব্জ হয়ে
জবুথবু হয়ে বেঁচে থাকা।
জীবনটাও যেন অকালে যাচ্ছে ক্ষয়ে।
কচি ডালপালাও গজাতে পাচ্ছে কৈ?
শুকনো ডালপালা কতখানি বাঁধা হয়ে
দাঁড়াচ্ছে সেকথা মুখ খুলেও যায় না
বলা।
মূক সেজে এই নিদারুণ অবস্থা সহ্য
করলেও ক্ষয়রোগ বাসা বাঁধতে লাগে
কি বেশি সময়? ভয় হয়, অচিরেই
কী জানি কী হয়?
ভাবছি, গা-ঝাড়া দিয়ে উঠবো? নব্য
যুবকদের মতো দাঁড়াবো? সেই ইচ্ছা
হলেও নিরুপায়।
নিস্তার পাচ্ছি কোথায়? মৃত অজস্র
ডালপালা দের ভারে কোমরটা গেছে
বেঁকে। এই অবস্থা উপলব্ধি করেও
করবো কী?
এদের ভার লাঘবে আয়লার মতোই
ভয়ানক ঝড় দরকার। এখন দেখার
সেরকম ঝড় আসে কিনা।
বিনা সংকোচে মৃত ডালপালাগুলো
ভেঙ্গে চুরমার করলে তবেই নতুন
ডালপালা গজাতে পারে।
নজরে আসছে ঘন কালো মেঘ জমছে
আকাশে। মেঘের গুম গুম শব্দও শোনা
যায়। রয়েছি সেই ঝড়ের অপেক্ষায়।