এ কী! হঠাৎ-ই অন্ধকারে চারিদিক ছেয়ে গেছে
ক’জন যেন সজারুর মতো পথে এসে দাঁড়িয়েছে
এক দু’জন নয় অনেকেই পড়েছি বিপাকে
সকলকে চোখে সর্ষে ফুল কি কম দেখতে হয়েছে?


যতই বলেছি, ‘ওরে! যেতে দে, একটু সরে দাঁড়া’
সেকথা এ জীবগুলো শোনেনি, ওরা নেকড়ের বাড়া!
পায়ে পা বাঁধিয়ে বাকবিতণ্ডা করে
ওরা ভাঙতে চেয়েছে সব পথিকদের শিরদাঁড়া।


ওরা হয়তো ভেবেছে এভাবে এ জীবন কাটাতে
দীর্ঘ সময় কেটেছে ওদের সাথে বিতর্ক এড়াতে
তবু সুরাহা আর হয়েছে কোথায়?
দস্যুরা আপসে পথ ছাড়তে চায় কি কোনমতে?


লড়তে হয়েছে রোদ বৃষ্টি টাইফুনেরও সাথে
ঝড়ো হাওয়া নাও টেনে ধরেছে স্রোতের বিপরীতে
বুঝেছি এসময় দাঁড় বাওয়া কত কষ্টসাধ্য
জীবনতরী বেশ হাবুডুবু খেয়েছে মাঝ-নদীতে।


এখনো ওদের সেই দস্যিপনা থেমে নেই মোটে
মাভৈ মাভৈ করে যদিও পা বাড়িয়েছি পথে
কে জানে, পথে কত কাঁটাও ছড়ানো?
তবু সবাই অকুতোভয় দুরূহ পথ পেরিয়ে যেতে।


জীবন-নদী বয়ে চলুক যখন যেই খাতে
থামবো না গঙ্গা পদ্মা মেঘনাও সাঁতরে পেরতে
এখন সাফল্যের চূড়া-ই সবার লক্ষ্য
কদম কদম পা-বাড়িয়ে যাচ্ছি লক্ষ্যে পৌঁছতে।


বহুদিন হয়নি তো কারো নাওয়া-খাওয়া
ঘাত প্রতিঘাতে এসব এখন হয়েছে গা-সওয়া
উত্তাল কাল-নদীতে কত কী করতে হয়েছে!
মিটেছে বাকি ছিল যে উজানে নাও বাওয়া।


বঞ্চিতরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে জানে
বঞ্চনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন জেগেছে প্রাণে
দেশমাতৃকার বীর বীরাঙ্গনারা
যুদ্ধ করতে গিয়ে রণক্ষেত্রে মরতেও জানে।


শুভবুদ্ধি সম্পন্ন অনেকে রয়েছে পাশে
বঞ্চিতদের রুখতে কে আসবে ও কোন সাহসে?
পিপীলিকার মতো মরবার উপক্রম হলে
পালানোর পথ খুঁজতে গিয়েও পাবে না দিশে।


প্রতিপক্ষরা এখন সমাধান সূত্র খুঁজবে কি?
নাকি বঞ্চিতদের সামর্থ্য যাচাই করতে এখনো বাকি
সেসব তারা অন্ধের মতো হাতরে বেড়াক
শেষে কী ঘটে গ্রহতারা সাক্ষী হতে তৈরি আছে বৈকি!