বলছি শোনো, এ পথে যাচ্ছ কোথায়, মুখোশধারী?
তোমার পরিচয় দেবে কি?
বললে তোমার কী নাম? ধর্ম নাকি?
পরিচয় দিতে হয়নি তো বাড়াবাড়ি?
তোমাকে চেনা তো দেখছি ভারী মুশকিল!
তোমার কথা শুনেই মগজে কী যেন করছে কিলবিল,
বলছি শোনো,
ধর্মের এমন রূপ আগে দেখিনি তো কক্ষনো।
যাক গে, বলছি কথাটা খুব দরকারি
বাঁচার আশায় খুঁজছ নাকি কোথায় গড়া যায় ভিটেবাড়ি?
ঘোড়ায় চেপে হনহনিয়ে এদিকেই যাচ্ছ বটে,
বোধ হয় পা বাড়িয়েছ ভুল পথে।
দাঁড়িয়ে আছো পথের বাঁকে
যে পথে পা বাড়ালে আলো ছড়িয়ে আছে চারদিকে।
বাসা বাধার আশায় অশিক্ষা কোথায় খুঁজছ নাকি?
ভাবলে না, আলোয় তাকে পাবে কি?
যাই বলো, এখন ভেবেই মরি
হচ্ছে নাকি একটুকু বাড়াবাড়ি?
পা বাড়াচ্ছ যে পথে সেখানে নেই জাতিবিদ্বেষ ও হিংসা
বরং রয়েছে প্রেম-ভালোবাসা ঠাসা
পূর্ণিমার আলোর মতো দীপ্তিমান সুশিক্ষা ও মানবতাবোধ
কেউ করে না কারো কণ্ঠরোধ।
মুখোশধারী, বোধ হয় খুঁজছ যাকে
অন্ধকারে হাত বাড়ালেই পাবে তাকে
দেখবে সজারুর মতো কাঁটা তার শরীরে দাঁড়িয়ে আছে,
তোমার জন্যই সে অপেক্ষা করছে।