বলবো কী আর
বাবুদের কিল খেলেও হেসে-খেলে সেই কিল
দুর্বলদের হজম করতে হয় চিরকাল। কাল-নদী
যদিও এদিকে সেদিকে বাঁক নিলো বহুবার তবু
এ ধারা আজও বহাল।
ট্র্যাডিশনের বদল হলো না। এমন ঘটনা ঘটছে
আরও কত না।এ যেন হাওয়া বইলো তবু কালো
মেঘকুণ্ডলী সরলো না।
স্মৃতি-মেদুর হলে কত কী ঘটে। কবে,কোন দেশে
এসব কাণ্ড ঘটেছে ভাবতে হয় অনর্গল ধীরে সুস্থে
বসে।
জানো, সেদিন কাকাতুয়া কোত্থেকে উড়ে এসে
এ কাজ একেবারে সহজ করে দিলো।
আমড়া গাছের মগডালে মুখোমুখি বসে বললো
পাখি,ধারে কাছে কোথাও এ দশা হতে দেখেছে
নাকি। সেখানে বাবুর কিল খেয়েও নাগরিকদের
কিল হজম করতে হচ্ছে,বৈকি? বললো আরও
কত কী!
উদাহরণের ছড়াছড়ি,এই যেমন ‘স্নেহাস্পর্শে
কেউ কারোও মাথার উপর ধরলে ছাতা,তার
একচ্ছত্র অধিপতি হবার পথে সকল অন্তরায়
ফন্দি করে ফুৎ-কারে উড়িয়ে দিলে সেসময়
সে প্রতিদ্বন্দ্বী নিষ্কণ্টক সাম্রাজ্য বিস্তারের পথে
একচ্ছত্র অধিপতি হতে চাইবে নাকি?
ধ্রুবতারা সাক্ষী! দেখেছে পাখি,সেখানে নাকি
বিদ্যুৎ-ব্যাপারীর এখন এমনি দশা। একচ্ছত্র
অধিপতি হয়ে আহ্লাদে মশগুল। সব জনগণকে
গুনতে হচ্ছে বিদ্যুতের চড়া মাশুল।
ভাবো একবার,এ দশা হলে হেসে-খেলে কিল
হজম করতে আছে কি আর বাকী?