এইতো সেদিন আকাশে ঘূর্ণাবর্ত দেখা
দিয়েছে অবেলায়।
অজস্র উড়ন্ত শঙ্খচিলের চিৎকারে কানে
ধরেছে ঝালাপালা।
রাজনীতির নেতাদের পলকা কথা বার্তায়
সম্মানীয় ব্যক্তিদের তিল তিল করে অর্জিত
মর্যাদা এক লহমায় মিশেছে ধুলায়।
ভাবে ক’জন নেতা-মন্ত্রী বাক স্বাধীনতার
নামে যা খুশি কি বলা যায়? এই সমাজে
বহাল তবিয়তে চলছে নাকি এই ধারা?
ভাবছে কি তারা বাতাসে হু হু করে এখন
বহমান তাদের অশ্রাব্য শব্দ-বন্ধনী সমাজে
করছে কত গভীর ক্ষত?
দেখেছি এক প্রবীণ এক প্রাচীন মন্দিরের
দেওয়ালে মাথা কুটে হাউ হাউ করে কেঁদে
বলছে, 'ভাবছে কি তারা তাদের কারো  
কারো কথা বার্তায় কত গুণী মানুষের যে
সম্মান হানি হয়, কত মানুষের দীর্ঘদিনের
অর্জিত মর্যাদা নষ্ট হয়। নাবালকদের কথাও
কি ভাবছে না তারা?
ভাবছে না তারা চলমান এই ধারা অবক্ষয়
ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি করে আগামী প্রজন্মকে পৌঁছে
দেবে মরু সাহারায়।
এই মন্দ বাতাস সমাজকে গ্রাস করলে
নেতা-মন্ত্রীরা নেবে কি এর দায়? শিশুদের
সুকোমল বৃত্তিকে তাদের কেউ দেবে কি
প্রহরা?'
শিশুদের অভিভাবকেরা আজ যেন বড়ো
অসহায়।
রাষ্ট্রও বুঝবে কবে অদূর ভবিষ্যতে সেটি
করবে সমাজের কত ক্ষতি?
বলছে বৃদ্ধ, ‘নাগরিকদের যে অধিকার
দিয়েছে সংবিধান, সেটিকে রক্ষায় কবে
বলবত হবে এ বিষয়ে ফৌজদারি আইন?