জানো তো সমীরণ
এ সমাজের চিত্র বরাবর
অনেকটা বাঞ্ছারামের বাগানের মতো।
ঘরে ঘরে সব পিতামাতা তাদের সন্তানদের
আলিঙ্গনবদ্ধ করে যেন মালীদের মতো নিয়ত
বাগান লালন পালনে তৎপর।
শোনো সমীরণ,বলবো কী আর
দূর দেশে বসে পেয়েছি আমাদের বাগানের খবর
জানো নিশ্চয়,সেখানে বরাবর ছাগলের উৎপাত ছিল
মালীরাও শখের বাগানকে
রক্ষা করতে খুব তৎপর ছিল
হেজের বেড়ায় বাগানের চারদিক ঘিরে
ভেতরে বহুমূল্য ফুলের চাষাবাদ করলো
ভেবেছিল দিনের শুরুতে ফুলের হাসিতে
প্রতিদিন একরাশ মুগ্ধতা ছড়াবে
মনোরম ফুলের গন্ধে মন দোলাবে
শোনা যাবে পাখিদের কলকাকলি
হায়রে, সেসব রক্ষা পেলো কৈ।
বিফলে গেল সকলি।
শুনেছি সেদিন মালীরা যখন নাওয়া খাওয়ায় ব্যস্ত
সে সময় ছাগলের উৎপাত
বেহুলা ও লখিন্দরের লৌহ-বাসরে ফাঁকফোকর
খুঁজে কালনাগিনীর মতো সে বাগানে
সুড়সুড় করে ঢুকে উটের মতো অনর্গল
গলা বাড়িয়ে যতটুকু সাধ্যে কুললো
তত উঁচু অবধি বহু ফুল গাছ মুড়লো
ক্ষয় ক্ষতি করলো কতটা পাইনি সে খবর।
এ খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন মন
বলবো কি আর যা দিনকাল
এখন সকাল থেকে রোজ
বাঁচার তাগিদে দু’মুঠো অন্ন যোগাতে ব্যস্ত
সে কারণে বেরবো কি
সামান্য ফুরসৎ জুটছে নাকি?
তাই বলি, সময় হাতে নিয়ে দেখে এসো
আর সে বাগান সরেজমিনে তল্লাশির পর
তৎপর হয়ে ছাগল কতটা ক্ষয় ক্ষতি করলো
সে খবরটা আমাকে জানিয়ে দিও।