ও নদী, কুলকুল করে বইবি কি রে?
পড়েছিস যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে, সেও
পড়েনি নজরে?
পাঁক গিলেও কাবু। তবুও ভাবিসনি
এতো পাঁক এসেছে কোত্থেকে? নাকি
রাতদিন ভেবেও জোটেনি হদিস?
দিশেহারা? তবে একটু দাঁড়া। ভেবে
দেখ, নেমেছিস যখন পাহাড় থেকে
পাথর কেটে সেসময় পাঁক ছিল না
মোটেই।
সাধ মেটেনি! গায়ে গতরে না-বাড়লে
কি হয়? সেই নেশায় দু’পাড় ভাঙ্গতে
চেষ্টা কী কম করেছিস?
ভেবেছিস, তখন ধপাস ধপাস পাড়
ভাঙ্গার শব্দ কি কম হয়েছে? নিঝুম
রাতে কেড়ে নিয়েছিস প্রতিবেশীদের
ঘুম।
নদী, ভেবেছিস দু’পাড়ের নড়বড়ে
মাটি গেল কোথায়? ওরা তোর বুকে
ঢলে পড়ে গেছে গলে।
চেষ্টা করেছিস বটে সেসব পাঁক বয়ে
বেড়াতে। বোধ হয় কুলায়নি সামর্থ্যে।
বটেই তো, বোঝা বইবি আর কত?
সূর্য যখন পাটে, বাঁক নিতেও বাধ্য
হয়েছিস। ঘূর্ণিতে দিশেহারা, থিতিয়ে
পড়া পাঁকে এসেও ঠেকেছিস।
এখন শিরে সংক্রান্তি? মিলছে নাকি
পাঁক থেকে নিষ্কৃতি?
উপায় খুঁজেও করবি কী? সে এখন
বিশ বাঁও জলে।
শরীর পড়ছে ঢলে? তবে, করবি কী
আর? পাঁকেই নিথর হয়ে থাক।