দেখছি কালের স্রোতে ঘটছে কত কী!
সমাজ হেলে দাঁড়িয়ে আছে
বহমান নদীর তীরবর্তী কেয়া গাছের মতো।
এ ঘটনা ঘটছে বিশ্বের বহু দেশে।
প্রসঙ্গত প্রশ্ন, শরীরের ভারসাম্য?
সে আর বলতে? শরীর এতোই হেলে গেছে
ভারসাম্য বজায় রাখাও যেন কষ্টকর।
ভয় হয়, আয়লার মতো বিভৎস ঝড় এলে
হবে কী? মুখ থুবড়ে পড়বে নাকি?
সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়াও দুষ্কর।
ভাবি, কেয়ার ঠেসমূলের ভূমিকা দেখে
বিস্ময়কর! মুখ বুজে বইছে শরীরের ভার।
সমাজ? তারও একই অবস্থা
প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি ঘটলেও
কেয়া যেভাবে দাঁড়িয়ে থাকে ঠেসমূলের ভরসায়
সমাজও, পরিযায়ী ও বঞ্চিত শ্রমিকদের উপর
আজও এতোটাই নির্ভরশীল।
সমাজ বেশ আছে বিবেকের দরজায় খিল এঁটে।
যাই হোক, নির্দয় সমাজ ওদের না-দিলেও
তুল্যমূল্য বিচারে তাদের যেটুকু প্রাপ্য
তবু তারা করছে না কাজে কোনও অবহেলা
সঙ্গী সাথী সব বঞ্চিত শ্রমিকদের নিয়ে  
সকলে মিলে এ সমাজকে আগলে রাখছে
যেন মুখ থুবড়ে না-পড়ে।