জোয়ারে ভেঙ্গেছে নদী-পাড়
নদী বিধৌত বিস্তীর্ণ শ্যামল শস্যক্ষেত্রে
ব্যাপক হারে ঢুকেছে নদীর নোনা জল
ঠিক যেন সন্ত্রাসী কায়দায়।
ঢুকছে আরও, ক্রমাগত।
এ প্রবণতা এখনও অব্যাহত।
হয়তো চলবে আরও সুদীর্ঘকাল
কালরাত্রির শেষ হতে এখনো বহু বাকি!
দেখছো, চারদিক জলে করছে থৈ-থৈ
কৈ, যেন উজানে বাইছে মই।
নোনা জল সরে যাওয়ার সম্ভাবনাও যেন মিছে,
বেজার মুখ করে ভাবছো কী?
প্রকৃতি ও সমাজের অন্তর্জলি যাত্রাটুকুই বাকি।
ভাবছো কী, এ ছিল নাকি ওদের বরাতে?
বলতে দ্বিধা কী? ভাবছো না কেন এ জগতে
এমন কত কী ঘটে নানান অভিঘাতে?
রথের চাকাও গড়ায় নাকি বিপরীতে, উল্টোরথে?
একথাও কি নেই জানা
উর্বরা জমির গন্ধ পেলে
নোনাজলের যেন ফিরে যেতে মানা?
শ্যামল শস্যক্ষেত্রকে বেছে নিতে চায় ঠিকানা।
ভাবছো নাকি
নোনা জল গিলতে অনভ্যস্তরা করবে কী?
বলি, এ ঘোর দুঃসময়ে
এই সন্ত্রাসী হামলায় ভীতসন্ত্রস্ত হলে বাঁচবে কি?
বিধির লিখন ভেবে হাল ছেড়েও দেবে নাকি?
অল্পবিস্তর নোনাজল গিলতে হলেও
বীর সেনাদের মতো ঘাম ঝরিয়ে
বাঁচার জন্য নিরলস সংগ্রাম করতে হবে বৈকি।