ধন্য কাকাতুয়া, দেশবিদেশ বিহারী পাখি! আজ
এ কী সন্দেশ জোগালে কামার শালার হাপরের
মতো ধিকিধিকি? বলছি, ‘পাখি, ঘটনাটি একটু
খুলে বলবে কি?’
নিভু নিভু আগুনে একটু ইন্ধন যোগালে যা হয়।
বললো পাখি,‘কোনও এক দেশের কোনও এক
স্থানের জনগণ অকাল বোধনের মতো অকাল
নির্বাচনের মুখোমুখি’! ভোটাররা নিয়ম মাফিক
তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে দেওয়ার
পরেও তাদের স্বস্তি মিলতে বাকি! দু’-তিন মাস
যেতে না-যেতেই শিশুসুলভ ভরা কলশী উপুড়
করে দেওয়ার মতো অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো।
গড়ালো জল,জনপ্রতিনিধির পদত্যাগের কারণে।
সেখানে এখন অকাল নির্বাচন, একেবারে দেবী
দশভুজার বোধনের মতো। ঢাকিদের বাদ্যযন্ত্রও
বাজছে,শত শত!
কিন্তু, কেন?
-এ সঙ্গত প্রশ্ন পাখিটির মগজে হাতুড়ির ঘা
এর মতো ঠুক ঠুক করে না-ঠুকে কি থাকতে
পারে? হলোও তাই! তাছাড়া কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে
ভীষ্ম কে শরবিদ্ধ করার প্রচেষ্টার মতো তাকে
লাগাতার প্রশ্ন করেছি।
বলো পাখি,‘আসন টি কি খালি হলো বিধিবদ্ধ
সময় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে?
নাকি,নির্বাচিত প্রতিনিধি দল বদল করলো দলের
মধ্যে মত বিরোধের কারণে?
কিংবা,কোনও বিপদ-আপদ কি ঘটলো তার?
রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিলেন কি জনপ্রতিনিধি’ ?
হায়রে, এতো গুলো প্রশ্ন করেও এক বারের
জন্যও সঠিক কারণের ধারে কাছে পৌঁছতে
পারিনি। বললো পাখি, ‘তেমন কিছুই ঘটেনি’।
-তবে?
‘যা ঘটলো সেসব যেন একজন বাজিকরের
ইশারায়,তার নাকি মদমত্ততায়’।
ভাবিয়ে তুললো,পাখি। বললো,‘বাজিকর যেভাবে
পুতুল নাচায়, সেভাবে সে নাচাতে চায় দেশের
গণতন্ত্র কে, নাচাতে চায় জনগণ কে,সেই দেশের
আইনে গণতন্ত্রের জন্য রক্ষিত সুরক্ষা বিধি কে
কাজে লাগিয়ে’।
তারপর?
-‘হতভম্ব জনগণ!তাদেরকে বইতে হবে আবার
নির্বাচনের ব্যাপক ব্যয় ভার। শুধু কী তাই,তাদের
আবার ভোট দানের জন্যও বাধ্য পুতুলের মতোই
লাইনে দাঁড়াতে হবে গণতন্ত্র কে বাঁচাতে।ব্যয় করতে
হবে তাদের মূল্যবান সময়।এ যেন ‘ব্যক্তি-পূজার
জন্য গণতন্ত্রের এই হাল'?
তার বক্তব্য শুনে ভাবতে ভাবতে পৌঁছে গেছি এক
কল্পনার রাজ্যে।সেখানে মেঘলা আকাশ। ভারী
হয়ে এলো বাতাস। নিশ্বাস ফেলাও কষ্টকর।