পা বাড়ালে?  না-বাড়িয়ে আর উপায় কী?
স্থির হয়ে বসে থাকতে পারবে নাকি?
যাচ্ছ যাও এগিয়ে, ক্ষতি নাই। তবে মনে
রেখো সামনে বহু চড়াই উতরাই। সাঁকো?
সেও।
কালের সরণী যে ভাবে বহুবার মানবতার
সাঁকো পেরিয়ে এতদূর এলো, সেই  দৃশ্য
দেখেই মনে হয় না কি সামনে ও হয়তো  
রয়েছে আরও সাঁকো, সারি সারি?
দুর্গম এ পথ পরিহার করারও উপায় নেই।
এ পথেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সেই
ভেবে বাড়ছে কি নাড়ির স্পন্দন?
দেখছ, কী সংকীর্ণ পথ! সেই সাথে যে
সাঁকো গুলো পেরিয়ে এলে, সেও ছিল
টলোমলো।
বলা ভালো, এ ভাবে চলতে গিয়ে সাঁকো
পেরতে গেলে যে কোনও সময় পা হড়কে  
অতলে তলিয়ে যেতেও পারো।
সূর্য এখন অস্তাচলে। চারদিক ছেয়ে গেছে
আবছা অন্ধকারে। জানি,কালের এ সরণী  
ধরে তবু যেতে হবে। নিস্তার নেই। একটু
বিরাম? সে সুযোগও নেই।
বলি, সেই ভেবে এখন বাড়ছে কি নাড়ির
স্পন্দন? যাও। তবে সতর্ক হয়ে পা বাড়াও,
এগিয়ে চলো ধীরে ধীরে।
এ কথা বলা দুষ্কর দুর্গম এ পথ ধরে কোন
মাইলস্টোনে পৌঁছবে শতবর্ষ পরে?