বলবো কী, দম্ভ ও অবহেলায় কত কী ঘটে!
দেখেছি তাকে, দম্ভ যেন তার মগজের ভাঁজে ভাঁজে।
যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহেলা? সেও!
কাঁকড়া বিছার মতো এ সবে আঁকড়ে ধরা থেকে
বিচ্যুত হয়নি মোটে।
উদাহরণ? তার জীবন-পঞ্জী উলটে বলবো কত?
নজির আছে শত শত।
সেসব শুনলে হয়তো শিরশির করে উঠবে শরীর।
তবুও একটা ঘটনা বলি,
তার একটা ক্ষত ছিল শরীরে, বহু আগে থেকে,
সে সময় সুচিকিৎসাও করানো যেতো,
বিগত দীর্ঘ সময়ে, সে আর হলো কোথায়
দম্ভ ও অবহেলায়?
সে বোঝেনি আগে,
এই ক্ষত থেকে কত কী হতে পারে।
শিয়রে সংকট, সেও।
তাকে চিকিৎসা করাতে বলেও বিফল হয়েছি।
ভীমরতি হয়তো একেই বলে! সেকথা শুনলো নাকি?
ভেবেছি বসে একাকী, এ অবহেলার দরুন
বাড়াবাড়ি কিছু হলেই সে দায়
বর্তাবে কি, ভাগ্যদেবতার উপর?
বহুদিন পরে সেদিন খবর এলো সে অসুস্থ,
এ কথা শুনে দেখেছি তার বাড়ি গিয়ে
সে কাৎরাচ্ছে রোগশয্যায় শুয়ে।
কেন? হলো কী? -তাকে জিজ্ঞেস করে জেনেছি
এ দুর্দশা, সেই ক্ষতের পরিণতি।
বলবো কী, প্রথমে সামান্যই ক্ষত ছিল
সময় যত গড়ালো এ ক্ষত চারদিকে ছড়ালো
শুধু কি তাই,
সেই সাথে ঢুকলো শরীরের একেবারে গভীরে
উইপোকা যেমন কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
যাকে ধরে শেষে তাকে আর কে বাঁচায়!
অবশেষে যদিও চিকিৎসার বন্দোবস্ত করলো
লাভ কী, সবই নিষ্ফলা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষাও করানো হলো
ফল! রোগী ক্যানসারে আক্রান্ত,
ক্ষান্ত নেই, বাড়ছে ক্রমাগত।
সংকটাপন্ন অবস্থায়, চিকিৎসায়ও দিচ্ছে না সাড়া।
এ অবস্থায় কী করার আছে?
চিকিৎসক জানালেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
প্রয়োগ করেও হলো না ফলপ্রসূ।
আরোগ্য লাভ? সে আশা এখন সুদূর পরাহত।
এখন সর্বশেষ পরিণতির অপেক্ষায়।
দেখেছি চিকিৎসক চলে যাওয়ার পরে মুমূর্ষু অবস্থায়
এ রোগী খুবই কষ্ট পাচ্ছে দেখে পাড়াপড়শী করলো কী?
সূর্যাস্তের সময়, চারিদিক ঢাকলো অন্ধকারে
সকলে মিলে করলো তার অন্তর্জলি যাত্রার বন্দোবস্ত।