জানি না
দীর্ঘসময় পর ফিরে এসে এখন এ স্থান
তোমার একেবারে অচেনা লাগছে কিনা!
লাগতে পারে বৈকি, প্রবল সে সম্ভাবনা।
এ দীর্ঘসময়ে ভাবো, ভাগীরথী দিয়ে
গড়ালো কত জল।
মনে কি পড়ে সেই যে চলে গেছ বৈকুণ্ঠপুর
ঘরদোরে সুবিশাল তালা ঝুলিয়ে ভাগ্যান্বেষণে
এ জনপদ থেকে মায়াজাল ছিঁড়ে
তারপর কেটেছে কত বছর?
যে কথা বলেছিলে যাওয়ার সময়
সেই মোতাবেক এমনটা হওয়ার ছিল কি?
মনে হয় না কি যা বলেছিলে
সে সময়ের কথার সাথে ঘটলো বৈপরীত্য?
জানি না, সঙ্গত কারণ থাকতে পারে হয়তো।
অভিযোগের দীপশিখা উস্‌কে দিয়ে লাভ কী?
বলতে চাইনে এ দীর্ঘ সময়ে
একবারও কেন পা বাড়াওনি এ পথে?
কেন কথা রাখোনি?
বলতে চাই, তুমি আসবে বলে অধীর আগ্রহে
পথের দিকে চেয়ে থাকতো যে আত্মীয়পরিজন
কালস্রোতে এ দীর্ঘসময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর
তারা এখন কে, কোথায় বলা দুষ্কর!
দেখো, আকাশে ঈশান কোণের দিকে
ঘন কালো মেঘের জমেছে আস্তরণ
বলা দুষ্কর, কী ঘটতে পারে এখন।
বলছি, তোমার চেনাজানা আগের মানুষগুলো
অনেকের হয়তো এ দীর্ঘসময়ে
মায়াজালের বন্ধন নিঃসাড়ে ছিঁড়েছে!
নয়তো, দুঃসময়ের বাড়বাড়ন্ত এসে
নেংটি ইঁদুরের মতো ছোটাছুটি করে
তাকে কেটে করেছে একেবারে কুটিকুটি।
এখন ফিরে এসে এ জনপদে পা রেখে
বুঝেছ নিশ্চয় এ দীর্ঘ সময়
এ জনপদ দাঁড়িয়ে থাকেনি স্থির
ধীরে ধীরে হয়েছে তার ব্যাপক চরিত্র-বদল।
বদল ঘটেছে মানুষেরও চিন্তা চেতনায়
‘জেনারেশন গ্যাপ’ ও মেলেছে ডানা।
বলো, আগেকার চেনাজানা মানুষগুলোর
অনেককে এখন লাগছে না কি অচেনা?