এই তো সেদিন ঘটলো যেন অকাল
বোধনের মতো ব্যাপার।
হঠাৎ আকাশ ঢাকলো কালো মেঘে ।
ঝড়ের তাণ্ডবে চারিদিক হলো যেন
ছারখার।
অসময়ে এ যেন একেবারে অনাসৃষ্টি,
ঝড়বৃষ্টি দানবিক শক্তি নিয়ে নাড়লো
ঘরের খুঁটি।
সেসময় খুঁটি আগলে ধরে সেই ঘর
রক্ষা করতে চেষ্টা করেছি।
দেখেছি এই দুর্যোগের সময় জানালা
দিয়ে কতটা হলো ক্ষয়ক্ষতি।
ঝড় স্তিমিত হলেই ঘরে বসে থাকার
অবকাশ নেই একরতি।
পিচ্ছিল পথ, শরীর ও অশক্ত। তবুও
লাঠিতে ভর দিয়ে যাচ্ছি। যেতে হবে
হেঁটে আলপথ পেরিয়ে।
নদীতীরে পৌঁছে নদীতে নাও বেয়ে
যেতে হবে বহুদূরে নদী মোহনায়।
মাচায় বসে করছো কী? দেখছো কি
আলপথে যাবার সময় অঘটন ঘটছে
কি? পা পিছলে পড়ে গিয়ে খাই কিনা
গড়াগড়ি?
ভাবছো হয়তো তখন ভাঙ্গবে লাঠি,
উঠে দাঁড়াতেও পারবো কি?
এ কথাও ভাবতে পারো শেষ রক্ষা
হবে না আর। জীবন তরী ডুববেই
অতল সাগরে। সংসার ডুববে ঘোর
নিশীথ অন্ধকারে।
বাস্তবে, পিচ্ছিল পথে চলতে গেলে
এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে
সাহসী ও কর্মনিষ্ঠরা কি সেই ভয়ে
ডরে?
শোনো, পথে ক'বার পা পিছলেছে
বটে, তবে পড়ে যাইনি। শরীরকে
সামলে লাঠিতে ভর দিয়ে আবারো
এগিয়ে যাচ্ছি।
বলি, হাতে লাঠি থাকলে ভয় কি?