এ ভাবে হাঁসফাঁস করছো কেন? বুঝি
একটুকু বিলম্ব সয় না আর। ভাবছো
কি দেরি হচ্ছে সেখানে গিয়ে লিখতে
বসতে সে দেশের সভ্যতার ইতিহাস?
বিশ্বাস যোগ্য যে খাস খবর এ যাবত
পৌঁছলো তাতে মনে হয়, বলবো কী
আর, সেটি নিছক ভাবনা হলে ক্ষতি
নেই কিন্তু সত্যিকারের তোমার ইচ্ছা
হলে এক,দুই,তিন,....করে গুনতেও
কেটে যেতে পারে দ্বিপ্রহর।
শুনলেও অবাক হবে বৈকি,সে দেশে
জনগণ এখন এক ভয়ঙ্কর দারিদ্রের
সম্মুখীন। চরম দারিদ্র সে সভ্যতাকে
যেন হাতির মতো মারছে পায়ে পিষে।
সে দেশে অর্থাভাবে লোডশেডিং-এর
দাপট বেড়েছে খুব। রাতে সড়কগুলো
প্রায়শ নিষ্প্রদীপ,জ্বলে না পথের ধারে
বৈদ্যুতিক বাতি,বিদ্যুতের অভাবে।
প্রতি রাতে গ্রাম ও শহরের বুক চিঁড়ে
দাপিয়ে বেড়ায় নিঝুম অন্ধকার।বলো,
জোনাকির সাধ্য আছে কি সে আঁধার
দূর করার?
বিদ্যুতের অভাবে সে সভ্যতার হচ্ছে
এখন পশ্চাৎ গমন।বন্ধ হতে বসেছে
সে দেশে শিল্প তালুকের প্রাণস্পন্দন।
চরম দারিদ্রের কষাঘাতে ভুগছে সেই
নাগরিক জীবন।
শোনা যায় সভ্যতার বুকে কাঠুরিয়ার
মতো কে যেন ঠক ঠক করে ক্রমাগত
মারছে ঘা!
ভাবতেও অবাক লাগে সেই কুড়ুলের
আঘাত পড়তে পারে শিশু শিক্ষায়।
বলবো কি আর শিশুরা ও পায়নি ছাড়।
তারা লেখাপড়া করবে কি? সেই রাষ্ট্র
যোগাতে পারছে না কাগজ।
ভাবি, অগভীর ভাবনার বশে কোন রাষ্ট্র
জড়িয়ে পড়লে ঋণের ফাঁদে,এমন কত
কী ঘটতে পারে এতো সহজে?
বলো এবার,লিখবে কিসে সে সভ্যতার
ইতিহাস?