কাল-নদীতে কাটছি সাঁতার বাঁচার অদম্য চেষ্টায়
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী দুষ্কৃতিদের কাছে
অসহায়ের মতো আত্ম সমর্পণের অনীহায়।
জন্মের পর অশক্ত হাত-পা, মেরুদণ্ড
দু’দণ্ড বিশ্রাম? -না, জোটেনি অদ্যাবধি।
বিধির লিখন, সাঁতার কাটতেই হবে
মৃত্যুর কাছে ধরাশায়ী না-হওয়া অবধি।
নদীস্রোত কোনদিকে টানে, কে জানে।
ভাসমান জীবনতরী, যেন ডুবে না-মরি
কিংবা ভেসে না-যাই বানে
জননী চেয়েছেন সাঁতার কাটা শেখাতে
পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠে বাঁচতে
যদিও মনের আত্মবিশ্বাস তখনো তলানিতে
জানিনা সাঁতার কাটতে পারবো কি স্রোতে
সেই সক্ষমতা তখনো দানা বাঁধেনি,জোটেনি সঞ্জীবনী
তবুও মায়ের শাড়ির আঁচল থেকে বেড়িয়ে
নদীতে নেমেছি ভয়ে ভয়ে
সাঁতার কাটতে চেষ্টা করে খেয়েছি হাবুডুবু
জল গিলে পেট ঢাক, হয়েছি বেশ কাবু।
তবু স্বাবলম্বী হতে চেয়ে
অনুভব করেছি কাউকে বিশ্বাস করা জরুরি
যদিও ঠগ-বাজদের পাল্লায় পড়ে কত মানুষ
অদ্যাবধি মাটিতে খেলো গড়াগড়ি
নদীতে বান ডাকলো যখন বাঁচতে চেয়েছি প্রাণপণ
বিশ্বাসে আগলে ধরেছি তড়িঘড়ি
সামনে যা পেয়েছি ভাসমান খড়কুটো, আত্মরক্ষার্থে
দ্বিধা করিনি কুমীরকেও জড়িয়ে ধরতে
দেখেছি কুমীরের দৌরাত্ম্য
সামনে যাকে পায় তাকেই ছিঁড়ে খেতে উজ্জীবিত
অচিরে কামড়ে দেহখানি করেছে ক্ষতবিক্ষত
বিস্মিত হতে হয় দেখে রক্ত ঝরালো কত!
চেয়েছে গভীর জলে টেনে নিয়ে মারতে
আজও দাঁতে দাঁত চেপে লড়তে হচ্ছে কুমীরের সাথে।