দম্ভে কত কী যে ঘটে।নক্ষত্র ও খসে পড়ে
আকাশ থেকে।রাজা অবচেতনার অন্ধকারে
দেখেছে কাল রাতে,‘মানবতা’ একটু আশ্রয়
চেয়ে তার পদযুগল ধরে আকুতি মিনতি
জানালো তাকে।
রাজা তাকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলো হেসে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিশ্ব
জয়ে বেড়িয়ে মতিভ্রমে নেমে পড়ল একটি
বেঠিক স্টেশনে।
খুঁজে পেল সে তার সাধের বাগান যেথায়
পিসার টাওয়ারের মতো অত্যুচ্চ এক স্তম্ভ
মাথা তুলে রয়েছে।ভাবলো সে সেই শৃঙ্গের
চূড়ায় সিংহাসন পেতে বসে শাসন করবে
সমগ্র বিশ্বকে।
অত্যৎুসাহে সিঁড়িটি বেয়ে তড়িঘড়ি চূড়ায়  
উঠতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো সিঁড়ির
বাঁকে।গড়িয়ে পড়লো ধাপে ধাপে।সংজ্ঞা
ফিরলে দেখলো নীরবে চোখ বুজে শুয়ে
রয়েছে পাহাড় থেকে ধসে পড়া ভগ্নপ্রায়
পাথরের মতো।
মলিন চাদরে ঢাকা তার শিথিল শরীর।
সারা শরীরে কাঁপন ধরলো ঠিক যেমন
ভয়ঙ্কর করোনার ছোঁয়ায় ঘটে।হাতড়িয়ে
জানালাটি ধরে উঠে দেখলো বাইরে ঘন
কুয়াশায় ছেয়ে আছে।
ধীরে ধীরে সেই কুয়াশার ঘোমটা সরলে
দেখেছে বাইরে মুখ ঝলসানো বহু অরণ্য।
পাশাপাশি ছড়ান ছিটান লক্ষ কোটি বন্য
মৃত পশুপাখির করোটি।ওদের অক্ষিকোটর
থেকে ঝরছে রাজার যাবতীয় অত্যাধুনিক
অস্ত্রাঘাতে লুপ্ত ওদের প্রাণ সত্তার নিঃসৃত
অশ্রুধারা।একদিন এই নিরীহদের মোমের
প্রদীপের মতো জ্বলন্ত প্রাণ-প্রদীপগুলো হঠাৎ
নিভেছিল দমকা হাওয়ায়।
তবুও ওরা ক্ষমা করতে জানে।এই রাজার
নিদারুণ দুর্দশা দেখে ওরা দেখাল মানবতা।
সেবা শুশ্রূষা করে রাজাকে সারিয়ে তুললো
ওরা নিজেদের ক্ষমা গুনে।